ভারতরত্নের জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষিত হওয়ায় বাঙালিরা গর্বিত। কিন্তু এর বিরোধিতা করছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই প্রণবকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে। আবার অনেকে দাবি করছেন, নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সভায় যোগ দেওয়ার জন্যই প্রণব মুখোপাধ্যায়কে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে।
প্রণববাবুকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করার ঘোষণা হওয়ার পরেই দিল্লীর এক আপ নেতা টুইট করেন, ‘সঙ্ঘের শাখায় এক বার যাও, আর রত্ন হয়ে যাও।’এ বার সেই বিতর্কের আগুনে ঘি দিলেন সংযুক্ত জনতা দলের নেতা দানিশ আলি। আজ শণিবার তিনি বলেন, ‘আরএসএসের সদর দফতরে সভায় যোগ দিয়ে এবং সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতা হেগড়েওয়ারকে ভূমিপুত্র বলার জন্যই প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতরত্ন দেওয়া হল।’ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘শিবকুমার স্বামী এক মহান ব্যক্তি ছিলেন। তাঁকে এই সম্মান না দেওয়ার জন্য কর্নাটকে বিজেপিকে ফল ভুগতে হবে।’
সমালোচকদের একাংশের মতে, হিন্দী বলয়ের জমি ক্ষয় হতে শুরু হওয়ায় আসন্ন লোকসভা ভোটে পূর্ব ভারতই বিজেপির চোখ। তাই প্রণববাবুকে ভারতরত্ন দিয়ে বাংলার মন জয় করার চেষ্টা করলেন মোদী। একই ভাবে নাগরিকত্ব বিলকে ঘিরে আসামবাসীর ক্ষোভ প্রশমিত করতে ভুপেন হাজারিকাকে এবং সঙ্ঘের মন রাখতে নানাজি দেশমুখকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়।
