লালকুঠিকে কেবল পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলাই নয়, জিটিএ-র সচিবালয়কে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফের হেঁটে লালকুঠিতে যান। সেখানে তিনি জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং, ভাইস চেয়ারম্যান অনীত থাপা এবং প্রধান সচিব সৈয়দ আহমেদ বাবার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ-র প্রশাসনিক ভবন দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিনয় তামাংদের বলেন, ‘জিটিএ সচিবালয় কেন এমন হবে? কেন এটিকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যাবে না?’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পাহাড়বাসীর সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অর্থ কোনও অন্তরায় হবে না। সমতলের সঙ্গে পাহাড়ের উন্নয়নে সমন্ময় আনাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী বিনয় তামাংদের নির্দেশ দেন, একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা তৈরি করে লালকুঠিকে যেন আরও ভালোভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথা বলেননি। জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং বলেন, ‘দুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী লাল্কুঠি নিয়ে আমাদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আজও তিনি বলেন, জিটিএ সচিবালয়কে যেন সচিবালয়ের মতোই দেখতে হয়। কালই আমরা আর্কিটেক্টকে সচিবালয়ে ডেকেছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দেখে তাঁকে আমরা কাজে নামার পরামর্শ দেব।
মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, লালকুঠির সমস্ত ভবনের সংস্কার করা হোক। সৌন্দর্যায়নও করা হোক। পর্যটকেরা যাতে ভিতরে বসতে পারেন, সেই ব্যবস্থা থাক। কোচবিহার রোডে ত্রিফলা বাতিও বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, লালকুঠির সামনের কোচবিহার রোডটিও সংস্কার করে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিনয় তামাং জানিয়েছেন, রাস্তা সংস্কারের কাজে তাঁরা ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছেন। ঠিকাদার সংস্থাকে দ্রুত কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। আর লালকুঠির সংস্কার হবে আর্কিটেক্টের পরামর্শ মেনে। জেলার প্রশাসনিক কর্তাদেরও দ্রুত সমস্ত বকেয়া কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশাসনিক এই সমস্ত কাজের বাইরে মুখ্যমন্ত্রী এদিন পাহাড়ের তৃণমূল নেতাদেরও দ্রুত লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। পাহাড়ের সর্বত্র দ্রুত বুথ কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের নতুন সহযোগী দল জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিষিংয়ের সঙ্গেও এদিন বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।