কেরলের আয়াপ্পা স্বামীর মন্দির শবরীমালাতে প্রবেশ করার সাহস দেখিয়ে নজির গড়েছিলেন ৩৯ বছরের কনকদুর্গা। তাঁকেই শ্বশুড়বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হল না। কিছুদিন আগেই কনকদুর্গার শাশুড়ি তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। যার জেরে তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল। এই ঘটনার পর তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। জানা গিয়েছে, পুলিস–প্রশাসন কনকদুর্গার অভিযোগটি আদালতে পাঠিয়েছেন। আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে সকলে। আপাতত কনকদুর্গার ঠাই হয়েছে সরকারি হোমে।
এই নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট ভায়োলেন্স প্রোটেকশন অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন কনকদুর্গা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, মন্দিরে প্রবেশের ‘অপরাধে’ তাঁকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তাঁর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। জানা গেছে, এদিন পুলিশ যখন কনকদুর্গাকে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দিতে যায়, তখন দেখা যায়, মহিলার স্বামী, তাঁর মা ও দুই সন্তানকে নিয়ে দরজায় তালা দিয়ে চলে গেছেন। ফলে আর বাড়ি ফেরা হয়নি কনকদুর্গার। বর্তমানে তিনি সরকারি হোমে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে আছেন। কনক বলেন, ‘আমাকে বিভিন্ন ধরনের কটু কথা বলে হেনস্থা করেন তিনি। আমার শাশুড়ি আমার চরিত্র নিয়েও বাজে কথা বলেন এবং আমি পরিবারের সম্মানহানি করেছি বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি’। আরও জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কনকদুর্গার এই অভিযোগ কোর্টের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে, এখন দেখার কোর্ট এর প্রেক্ষিতে কি নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি কণকদুর্গা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর শাশুড়ি তাঁকে লাঠি দিয়ে মেরেছেন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যা স্থানীয় হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় তাঁকে। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারছিলেন না কনক। এরপর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কনকদুর্গা। তার প্রেক্ষিতে আদালত কেরল সরকারকে গত সপ্তাহে নির্দেশ দেয়, ২৪ ঘণ্টা ওই মহিলার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার। এদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়ি ফিরছিলেন কনক দুর্গা। কিন্তু বাড়িতে ঢুকতে পারলেন না