বিধ্বংসী আগুন নেভানোর পাশাপাশি এবার আগুন লাগার ঘটনা ঠেকাতেও তৎপর রাজ্য। জানা গেছে, কলকাতা এবং আশপাশ এলাকায় নজরদারি চালাবে মোট ২৪টি দল, নেতৃত্বে দমকল দফতর। আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই অভিযান। এর পাশাপাশি, আরও ১০০টি দমকল-বাইক কেনা হবে বলেও দফতরের তরফে জানা গেছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং হকারদের পাশে সবসময়ই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে দোকান চালাতে পারেন, ব্যবসা করতে পারেন, সে ব্যাপারে নজর রয়েছে সরকারের। কোনও আপত্তিই নেই তাতে। কিন্তু কোনও রকম প্লাস্টিকের চাদর যাতে ব্যবহার না করা হয়, সে ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য। সরকারের সাফ বার্তা, দোকান চালানোর নামে রাস্তা দখল করা যাবে না। আবার, কেবল টিভির তারের জন্যও দমকলের কাজে সমস্যা হয়। দরকার পড়লে সেই তার কেটে দেবে বলে জানিয়েছে দমকল দফতর।
সোমবার বিকাশ ভবনে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘ফায়ার অডিট দেখতে তৈরি করা হচ্ছে ২৪টি দল। ২৮ জানুয়ারি থেকে তারা কাজ শুরু করবে। বিভিন্ন বাজার, শপিং কমপ্লেক্সে ঘুরবে তারা। প্রথম মাসে ১০০টি এবং মার্চ মাস থেকে ২০০টি জায়গায় যাবে ওই দল।’ মূলত বিভিন্ন বাজার, শপিং মল, জনবহুল জায়গা, সেখানে প্রচুর মানুষের যাতায়াত, সেখানেই যাবে নজরদারি দল। সংশ্লিষ্ট দমকল কেন্দ্রের ওসির নেতৃত্বে ওই দলে থাকবেন পুলিশ, কলকাতা পুরসভা, সিইএসসির প্রতিনিধিরা। তবে কলকাতা পুরসভার বাইরে কোনও এলাকা হলে সেখানে থাকবেন সংশ্লিষ্ট পুরসভা, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের প্রতিনিধিরা।
গড়িয়াহাট অগ্নিকাণ্ড এবং রাস্তায় প্লাস্টিকের চাদর টাঙিয়ে দোকান বসানো নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দমকল এবং ফরেনসিক বিভাগ তদন্ত করছে। পুলিশকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ব্যবসা করতে দেওয়ার বিরুদ্ধে নই। গরিব মানুষ দোকান চালাবেন, আমরা তার পক্ষে। ব্যবসায় কোনও আঘাত করব না। তবে প্লাস্টিক টাঙিয়ে দোকান করা নিরাপদ নয়। আর প্লাস্টিক দূষণও ছড়ায়। হকারদের বলব, নিয়ম মেনে চলুন। আপনারা ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ব্যবসা করার নামে কিছু মানুষ রাস্তা দখল করে নিচ্ছে। তা চলবে না। রাস্তায় দোকানও থাকবে, মানুষও হাঁটাচলা করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেবল টিভির তারের জন্য অনেক সময় দমকলের গাড়ি ঢুকতে পারে না। সমস্যার কারণে ওইসব তার কাটতে হলে আমরা তা কেটে ফেলব।’ মন্ত্রীর কথায়, ‘অনেক জায়গা জতুগৃহের মতো হয়ে রয়েছে। মানুষের জীবন আগে, তারপর বাকি সব কিছু।’