তেইশ কন্ঠের এক সুরে ঘুম ছুটেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশের চব্বিশ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সেই জোটের চাপকে উপেক্ষা করতে পারছেন না তিনি। শুধু নিজে নয়, তোপ দাগার কাজে গোটা দলকেই মাঠে নামিয়েছেন মোদী।
ব্রিগেডেড় মহাজোট দেখে মোদী বলেছিলেন, বিরোধীরা নিজেদের বাঁচাতে একজোট হচ্ছে আর ‘বাঁচাও’ বাঁচাও’ আর্তনাদ করছে। রাহুল আজ টুইট করে কটাক্ষ করলেন, ‘ইওর হাইনেস, সাহায্যের এই আর্তনাদ দেশের লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক, দুর্দশায় থাকা কৃষক, অবদমিত দলিত-আদিবাসী, নিগৃহীত সংখ্যালঘু, বিপর্যস্ত ছোট ব্যবসায়ীদের। তাঁরা আপনার স্বৈরতন্ত্র ও অযোগ্যতা থেকে মুক্তির ভিক্ষা চাইছেন। আর একশো দিনে তাঁরা মুক্ত হবেন’।
মোদীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূলও। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূল নেত্রীর ডাকে ব্রিগেড সমাবেশে এক সঙ্গে সব দলকে দেখে প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই আতঙ্কে, হতাশায় নানা আক্রমণ করছেন।’ পরিবারতন্ত্র নিয়ে মোদীর অভিযোগের জবাবে পার্থবাবু বলেন, ‘ওঁরা কংগ্রেসকে বলেন, এক পরিবারের দল। কিন্তু বিজেপিতে তো সবই অমিত শাহ আর নরেন্দ্র মোদীর হাতে! আর কে কোথায় আছেন? এক পরিবারের এক জনের পরে আরও যদি কেউ রাজনীতিতে আসেন এবং মানুষ তাঁকে গণতান্ত্রিক ভাবে মেনে নেন, তা হলে অপরাধ কী?’ একই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মোদীর আক্রমণ উড়িয়ে পার্থবাবুর বলেন, ‘ত্রিপুরায় তো বিজেপি পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে ৯৬ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে! সেখানে গণতন্ত্র আছে, আর এখানে নেই?’
ঘরোয়া মহলে বিজেপি নেতারা স্বীকার করছেন, ব্রিগেডের সভাকে উপেক্ষা করা যেতেই পারত। কিন্তু যে ভাবে বিরোধীদের জোট দানা বাঁধছে, তাতে কর্মীদের মনেও ভয় ঢুকছে। ফলে নেতৃত্ব কী করে চুপ থাকতে পারেন? তাই শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, দলের সব নেতাকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জোটকে নিশানা করতে।