ইয়ান চ্যাপেল, মাইকেল ক্লার্ক কোহলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ইয়ান চ্যাপেলের মতে, ‘একদিনের ক্রিকেটের ডন ব্র্যাডম্যান হতে চলেছে কোহলি।’ আর ক্লার্কের মতে, ‘একদিনের ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি।’ দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারই নিজেদের যুক্তি দেখিয়েছেন।
ইয়ান চ্যাপেল বলেন, ‘একদিনের ক্রিকেটে কোহলির মানসিকতা দেখে, স্যর ভিভের কথা মনে পড়ে। ও যেমন কেতাবি শট মারে, তেমনই ঐতিহ্যশালী স্ট্রোক বলতে আমরা যা বুঝি, সেটাও মারে। ও যদি এভাবে রান করতে থাকে, তা হলে শচীনকেও ছাপিয়ে যাবে। শচীনের ১০০ সেঞ্চুরিকে পেছনে ফেলে আরও অন্তত ২০টা বেশি সেঞ্চুরি করবে।’
ক্লার্ক বলেছেন, ‘একদিনের ক্রিকেটে বিরাট কোহলিই সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান। ভারতের হয়ে ও যা অর্জন করেছে, তা চাক্ষুস করার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আমাকে দু’বার ভাবতে হয়নি।’ ২১৯টি ওয়ান ডে ম্যাচে ১০৩৮৫ রান করেছেন কোহলি। তাঁর ব্যাটিং গড় ৫৯.৬৮। ইতিমধ্যেই ৩৯টি শতরানও করে ফেলেছেন বিরাট। তাঁর সামনে এখন শুধুই শচীন তেন্ডুলকরের ৪৯টি সেঞ্চুরি। ক্লার্ক আরও বলেছেন, ‘বিরাটের মধ্যে ক্রিকেট প্যাসন অসম্ভব বেশি। দেশের হয়ে সব ম্যাচ জেতার আবেগ নিয়ে ও লড়াই করে। যা আমাদের সম্মান জানানো উচিত। হতে পারে কোহলির আচরণে আগ্রাসন বেশি করে ফুটে ওঠে, কিন্তু ওর দায়বদ্ধতা নিয়ে কেউ কখনও প্রশ্ন তুলতে পারবে না। ওর সাফল্যের ধারে কাছে কেউ নেই। একদিনের ক্রিকেটে ও সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে।’
শুধু কোহলিকে নিয়েই নয়, এই দুই প্রাক্তন তারকাই কথা বলেছেন ধোনিকে নিয়েও। ইয়ান চ্যাপেলের মতে, ‘জয়ের মুহূর্তে ফিনিশারের ভূমিকায় ধোনি স্নায়ুর ওপর যে নিয়ন্ত্রণ দেখায়, তা আর কারও নেই।’ ক্লার্কও অনেকটা একই সুরে কথা বলেছেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী কীভাবে খেলতে হবে, ধোনি জানে। ৩০০–র ওপর একদিনের ম্যাচ খেলেছে। তাই নিজের কাজটা ঠিকঠাকই শেষ করে।’ অ্যালান বর্ডারও বিশ্বাস করেন, ‘ধোনির মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা আবার ফিরে এসেছে। ও একদিনের সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছে। দলকে জিতিয়েছে।’
আসন্ন বিশ্বকাপে ভারত অন্যতম ফেভারিট বলে জানিয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। তিনি বলেন, ‘ভারতের বোলিং বিভাগ খুবই ভালো। ব্যাটিংও যথেষ্ট শক্তিশালী। পাশাপাশি তরুণ স্পিনাররা ভালো পারফর্ম করছে। অবশ্যই বিশ্বকাপ জেতার দৌড়ে ভারত এগিয়ে থাকবে। তবে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারানো কঠিন হবে। অস্ট্রেলিয়াকে মাঝামাঝি জায়গায় রাখছি।’