বাংলার ব্রিগেডে বিরোধী-মহাজোটের অবয়ব দেখিয়ে মোদী-সরকারের ‘এক্সপায়ারি ডেট’ ঘোষণা করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে বিরোধী জোটের প্রথম সমাবেশেই ভোট পরবর্তী বিজয়-সমাবেশেরও ডাক দিয়ে রাখলেন তৃণমূলনেত্রী। যাঁরা এখনও বিজেপির সঙ্গে আছেন, তাঁদেরও বেরিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন মমতা।
আত্মবিশ্বাসী মমতা ব্রিগেডেই বলে দেন, ‘জনতা দিমাগ বনা লিয়া। এই সভাই বিজেপির শেষের শুরু। মোদীবাবুর সরকারের এক্সপায়ারি ডেট এসে গিয়েছে। পরিবর্তনের পর আবার এই ব্রিগেডেই সভা করব। বদল হবেই। কেউ রুখতে পারবে না। এই সভা ইতিহাসের প্রয়োজনে।’
গত চার বছর যাবৎ বাংলার মাটিতে ৩৬৫ দিন তিনি যে কথাগুলো বলে মোদী সরকারের মুণ্ডপাত করে এসেছেন, সেগুলো এ দিন ভিন-রাজ্যের ২২ জন বিরোধী বক্তার জবানিতে শুনেছে রাজ্যবাসী। তরুণ হার্দিক প্যাটেল, জিগনেশ মেওয়ানি থেকে শুরু করে দেবগৌড়া-শরদ পাওয়ারের মতো প্রবীণ – সকলেই এতগুলো বিরোধী দলকে একমঞ্চে হাজির করার দুর্লভ কৃতিত্ব দিয়েছেন মমতাকেই। পাশাপাশি বিভিন্ন বক্তাদের মূল সুর ছিল একটাই। বিজেপিকে হারাতে একজোট হয়ে লড়তে হবে। এই কথাগুলোই উঠে এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যে।
মোদীকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘উনি নবাব নন, আমরাও ওনার চাকর নই যে ওনার কথাতেই নাচব। আমরা দেশের স্বাধীন নাগরিক। উনি চান আমরা ওনার চাকর হয়ে থাকি, তবে আমরা নই।’ মমতার কথায়, ‘কেউ এককভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। যৌথ নেতৃত্বে জোর দেওয়া হচ্ছে। মহা জোটের সবাই নেতা। আমাদের গণতন্ত্রে আমরা সবাই প্রজা। প্রধানমন্ত্রী কে হবে, তা ভাবার দরকার নেই। নির্বাচনের পর আমরা ঠিক করব, কে প্রধানমন্ত্রী হবে।’ এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া। ছিলেন কুমারস্বামী, কেজরিওয়াল, শত্রুঘ্ন সিনহা, অরুণ শৌরি, শরদ যাদবের মত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।