খাতায় কলমে তিনি বিজেপি সাংসদ। কিন্তু মোদী সরকারের অন্যায় দেখলে গর্জে উঠেছেন বারবার। ইনি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপি নেতারা তাঁকে বারবার বিদ্রোহী আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তাতে বিহারীবাবুর কিস্যু যায় আসে না। শনিবার মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি হাজির কলকাতার ব্রিগেড মঞ্চে। এবং শুরুতেই তিনি স্পষ্ট করে দিলেন কেন তিনি এই মঞ্চে? শত্রুঘ্নর কথায়, ‘দলের থেকে বড় দেশ। আর দেশের জন্য কথা বললে তাঁকে বিদ্রোহ বলা যায় না।’
নিজের বক্তব্যে বঙ্গবাসীর মনে ছাপ ফেলে গেলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বলেন, ‘বাংলার বৈপ্লবিক নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বোনের ডাকে এখানে উপস্থিত হয়েছি আমি। লক্ষ্য একটাই উদ্দেশ্য একটাই পরিবর্তন।’ বাজপেয়ীর সরকার ও মোদীর সরকারের মধ্যে পার্থক্য দেখিয়ে পাটনা সাহিবের সাংসদ বলেন, ‘অটল বিহারী বাজপেয়ীর জমানায় দেশে গণতন্ত্র ছিল মোদীর আমলে রয়েছে অরাজকতা।’ তাঁর কথায়, রাতারাতি গোটা দেশে মোদী নোটবন্দীর প্রচার করেন। এই ঘোষণা করার আগে একবারও তিনি ভেবেছেন দেশের মানুষ কীভাবে চলবে? মোদীর এই সিদ্ধান্ত কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নয়, এটা ওঁর নিজের সিদ্ধান্ত। এটা যদি দলের সিদ্ধান্ত হত তাহলে লালকৃষ্ণ আডবানীজি অবশ্যই জানতেন। এর জেরে বহু মানুষের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে মানুষের যে সমস্যা হয়েছে তা থেকে দেশ বেরতে পারবে না।’
শুধু নোটবন্দী নয়, জিএসটি থেকে শুরু করে রাফালকেও টেনে আনেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘নোটবন্দির ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই একেবারে স্বাধীনতা দিবসের ধাঁচে দেশে চালু করে দিলেন কঠিন জিএসটি। যা গব্বর সিং ট্যাক্স নামে খ্যাত। অথচ একটা সময় এর ব্যাপক বিরোধিতা করেছিলেন মোদী নিজেই।’ পাশাপাশি রাফাল নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘হ্যাল তো সুখোই পর্যন্ত বানিয়েছিল, তাহলে কি রাফাল বানাতে পারত না? ওদেরকে বরাত দেওয়া হল না। নতুন একটা কম্পানিকে বরাত দেওয়া হল। যারা সাইকেলের চাকা বানায়নি, তারা কী করে রাফালের বরাত পেল? যতক্ষণ না এসবের উত্তর দেবেন, ততক্ষণ শুনবেন চৌকিদার চোর, চৌকিদার চোর।’
