একের পর এক ইস্যুতে একেই অস্বস্তিতে মোদী-শাহর দল। তার ওপর এবার বিজেপির মাথাব্যথা আরও খানিকটা বাড়িয়ে মুখ খুললেন এবিভিপির দুই প্রাক্তন সদস্য। জানা গেছে, ২০১৬-এ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ,অনির্বাণ ভট্টাচার্যরা দেশদ্রোহী সাব্যস্ত হল, তার নেপথ্যে ছিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিলভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। এই দাবি করেছেন এবিভিপির ওই দুই প্রাক্তন সদস্যই। লোকসভা ভোটের আগে কানহাইয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হওয়াকেও নির্বাচনী অভিসন্ধি হিসাবেই দেখছেন তারা।
২০১৬-র ৯ ফেব্রুয়ারি সংসদ ভবনে জঙ্গি হানার দায়ে ফাঁসির সাজা হওয়া আফজাল গুরুর মৃত্যু দিবস পালনকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল জেএনইউ চত্বর। ওই জমায়েত থেকে উঠেছিল দেশবিরোধী স্লোগানও। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ছিলেন কানহাইয়া কুমার। আর এবিভিপি শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন যতীন গোরোয়া ও যুগ্ম সচিব প্রদীপ নারওয়াল। ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই এবিভিপি ছেড়ে যান দু’জনে। নারওয়াল এখন কংগ্রেস কর্মী।
যতীন গোরায়ার অভিযোগ, পুরো ঘটনাটিই এবিভিপির পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। এবং তা হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিত গবেষক রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার ঘটনা থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই। এ ব্যাপারে এবিভিপিকে মদত দেয় বিজেপি এবং আরএসএস। এমনকি ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’-এর যে স্লোগান প্রকাশ্যে এসেছিল, তার পেছনে এবিভিপি কর্মীরাই ছিলেন বলে অভিযোগ গোরায়ার। তদন্তে দেখা যায়, পাকিস্তানের নামে জয়ধ্বনি দেওয়া ওই ভিডিওটি ভুয়ো। গোরায়ার কথায়, ‘এখনও বুঝতে পারছি না ভিডিওয় যাদের দেখা গেছে, কেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি পুলিশ। চার্জশিটে তাদের নাম না থাকাটা আশ্চর্যজনক।’
এত দেরি করে চার্জশিট দেওয়ার পেছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করেন নারওয়ালও। তিনি বলেন, ‘মামলা হওয়ার তিনমাসের মধ্যে চার্জশিট তৈরি করতে হয়। কিন্তু এখানে তিন বছর লেগে গেল। বোঝাই যাচ্ছে, গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে।’ বেকারত্ব-সহ বিভিন্ন ব্যর্থতা ঢাকতে ভেমুলার মৃত্যুবার্ষিকীর আগে চার্জশিট পেশ করিয়েছে সরকার। এমনও অভিযোগ করেন নারওয়াল। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।