সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা এম নাগেশ্বর রাওকে পদ থেকে সরানোর জন্য দায়ের হওয়া মামলা আগামী সপ্তাহে শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে পদ থেকে সরাতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা। তাদের হয়ে মামলা লড়ছেন দেশের প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। ‘কমন কজ’ নামে স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার দাবি, নাগেশ্বর রাওকে নিয়ম না মেনে পদে বসানো হয়েছে। এই নিয়োগ আইনের পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের নিয়োগ কমিটি অলোক বর্মাকে সিবিআই অধিকর্তার পদ থেকে অপসরাণ করিয়ে পুনর্বহাল করা হয় নাগেশ্বর রাওকে। তিনি ইতিমধ্যে দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরুও করে দিয়েছেন। গত ১০ জানুয়ারি উচ্চ পর্যায়ের নিয়োগ কমিটির বৈঠকে অলোক বর্মার অপসারণের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমর্থন পান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের প্রতিনিধি বিচারপতি সিক্রিরও। বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের আপত্তি সত্ত্বেও ওই কমিটির সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি করেন, ১০ জানুয়ারির বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশ্যে নিয়ে আসুক কেন্দ্র। অলোক বর্মার বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিটি-র রিপোর্টও প্রকাশ্যের আনার দাবি তোলেন তিনি। তবে, সিভিসির যে রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রী বর্মার অপসারণে দাবি তোলেন, সেই রিপোর্টে সীলমোহর দেননি তদন্তের নেতৃত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে পট্টনায়েক। বর্মার অপসারণকে ‘হঠকারি সিদ্ধান্ত’ বলে দাবি করেন তিনি।