নোটবন্দী ও জিএসটি-র জন্যই ধাক্কা খেয়েছে কৃষি এবং ছোট ব্যবসা। মার খেয়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। বৃদ্ধির হার কমেছে। ইন্ডিয়ান চেম্বার আয়োজিত এক সভায় কৌশিকবাবুর নতুন বই ‘দ্য রিপাবলিক অব বিলিফস: এ নিউ অ্যাপ্রোচ টু ল অ্যান্ড ইকনমিক্স’ প্রকাশিত হয়। সেখানেই এমন অভিযোগ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু।
কৌশিকের কথায়, গত ২০০৩ থেকে ২০১১ সালে বৃদ্ধি ছিল ৮ থেকে ৯ শতাংশ। তা কমে এখন ৭ শতাংশের উপরে। কিন্তু তাতেও যেটুকু কর্মসংস্থান হওয়ার কথা, তার ধারেকাছেও নেই সেই সুযোগ। এজন্য দায়ী নোটবন্দী ও জিএসটি। এই জোড়া ধাক্কার জের সইতে হচ্ছে কৃষি ও ছোট ব্যবসাকে।
কৌশিকবাবু দেউলিয়া আইনের প্রশংসা করলেও মনে করান বৃদ্ধি কমে যাওয়ার কথা। সেই বৃদ্ধির অনুপাতে কর্মসংস্থান না হওয়ার কথাও। তাঁর দাবি, ‘কিছু কাজে যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু বেশ কিছু নীতির জন্যও বৃদ্ধি ধারেকাছে নেই কাজের সুযোগ।’ এ জন্য সরাসরি নোট বাতিল ও জিএসটি কার্যকরের ত্রুটিকেই দোষেন তিনি। তাঁর দাবি, যুক্তি দেওয়া হয়েছিল জাল টাকা রুখতেই নোটবন্দী। কালো টাকা নয়। তাঁর কথায়, ‘আইন ভাল হলে মানুষ তার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। কিন্তু কালো টাকা রুখতে নোট বাতিলের কথা কেউ বিশ্বাস করেননি। অথচ তার ধাক্কা লাগল কৃষিতে। চাষিরা আরও ঋণে জড়ালেন। এখনও সমস্যা মেটেনি।’
কৌশিকবাবুর সতর্কবার্তা, আগে জি়ডিপির ৩৮ শতাংশ লগ্নী হলেও এখন তা নেমেছে ৩০ শতাংশের নীচে। তাই লগ্নি বাড়াতে প্রয়োজনে সুদ বৃদ্ধির পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু ওই টুকুই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপে নারাজ তিনি।