যাত্রী সুবিধার দিকে বরাবরই নজর দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নতুন বাস, রাস্তার সংস্কার ইত্যাদি কাজের ক্ষেত্রে এতটুকুও গাফিলতি রাখেন না তিনি। সেই ধারা বজায় রেখে নতুন বছরে সকলকে মহেশতলা উড়ালপুল উপহার দিলেন মমতা। গতকাল মহেশতলার সাত কিলোমিটার উড়ালপুল ‘সম্প্রীতি’র উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিকেলে বাবুঘাটের গঙ্গাসাগরে আসা সাধু, সন্ন্যাসীদের অস্থায়ী শিবির থেকে এর সূচনা করেন তিনি। ওই সময় বাটানগরে হাজির ছিলেন সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, চেয়ারম্যান ও বিধায়ক দুলাল দাস, রিভারসাইট প্রজেক্টের কর্তারা। ওই মঞ্চ থেকে মমতা আরও জানালেন এই উড়ালপুলে দু’ চাকা ও চার চাকার কোনও গাড়িকে টোল ট্যাক্স দিতে হবে না।
উড়ালপুল উদ্বোধনের পর থেকেই বাটা থেকে জিনজিরা বাজার পর্যন্ত ওই উড়ালপুলের যান চলাচল শুরু হয়ে গেল। টোল প্রসঙ্গে মমতা জানালেন, ‘এখানকার মানুষ টোল নিয়ে আমার কাছে বলেছিলেন। সে কথার মর্যাদা রাখতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ শুধু দু’চাকা বা চার চাকা গাড়িই নয়, টোল দিতে হবে না সবজি-পণ্য নিয়ে যাতায়াতকারী কোনও গাড়িকেও।
সরকারিভাবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, উড়ালপুলের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে নীচের রাস্তাও শেষ হবে। রাজ্যের সব দিকেই যে মমতার তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে তা গতকাল প্রমাণিত হল আবারও। রাস্তা সারানোর প্রসঙ্গে সরকারি আধিকারিকদের তিনি নির্দেশ দিলেন বাটা থেকে জিনজিরা বাজার পর্যন্ত উড়ালপুলের নীচের রাস্তা ঠিক করার যে কাজ চলছে তা দ্রুত শেষ করার জন্য। যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘নীচের রাস্তা যতদিন মেরামত হয়ে চলার যোগ্য না হচ্ছে, ততদিন উড়ালপুল ব্যবহার করব না। এটা আমার প্রতিজ্ঞা।’ আগামি এক মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে এমন প্রতিশ্রুতিই সাধারণ মানুষের কাছে দিয়েছেন অভিষেক।