অমিত শাহকে হারানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ময়দানে নামার দরকার নেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাই যথেষ্ট। আজ শুক্রবার শ্যামবাজারের জনসভা থেকে এভাবেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সন্ধ্যায় শ্যামবাজারে ব্রিগেড প্রস্তুতিতে সভা ছিল তৃণমূলের। যুবদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানেই অমিত শাহের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অভিষেক বলেন, ‘অমিত শাহের ক্ষমতা থাকলে বাংলায় ৪২ টির মধ্যে যে কোনও আসনে দাঁড়িয়ে দেখাক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাঠে নামার দরকার নেই। অমিত শাহকে হারানোর দায়িত্ব আমি একা নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি।’
সিবিআই প্রধানের পদ থেকে অলোক বর্মাকে অপসারণের ঘটনা নিয়েও এদিন মুখ খোলেন অভিষেক। প্রশ্ন তোলেন, ‘সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তোমাদের হুঙ্কার কোথায় ছিল?’ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘তৃণমূলের পেছনে ইডি, সিবিআই–কে লেলিয়ে কিছুই করতে পারেনি বিজেপি। তৃণমূলকে ধমকিয়ে, চমকিয়ে কিছুই লাভ হবে না। উল্টে মানুষ এখন ওদের চিনে ফেলেছে।’
এবারের ব্রিগেডের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে অভিষেক বলেন, ‘১৯ জানুয়ারির সমাবেশ থেকে সম্মিলিতভাবে কেন্দ্রে বিজেপি–কে হঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। সেদিনের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী কী বার্তা দেন, তা শোনার জন্য দেশের ১৩০ কোটি মানুষ তাকিয়ে রয়েছেন। ব্রিগেডের ওই সভায় শরদ পাওয়ার, শরদ যাদব, অরবিন্দ কেজিরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব, স্ট্যালিন, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো সর্বভারতীয়স্তরে একাধিক নেতা হাজির থাকবেন। তঁাদের উপস্থিতিতে ওই দিন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে কেন্দ্র থেকে বিজেপি–কে হঠিয়ে ক্ষমতা দখলের রূপরেখা তৈরি হয়ে যাবে। ওই দিন থেকেই আমরা শপথ নেব, মমতা ব্যানার্জিকে প্রধানমন্ত্রী করে শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ ভারত গড়ার।’
