সাধারণ মানুষের জন্যে কাজ করতেই রাজনীতির ময়দানে এসেছিলেন তাঁরা। বিজেপি কর্তৃপক্ষ এমন ভাবে তাঁদের বুঝিয়েছিল যাতে তাঁদের ছত্রছায়ায় এলে নিশ্চিন্ত ভাবে কাজ করা যাবে। দলে থেকে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ীও হয়েছিলেন সোমা টুডু নামে ওই মহিলা। কিন্ত বাস্তবে ঘটল সম্পূর্ণ অন্য রকম। দেখা গেল দলের নেতাদের কথা মত ব্যস্ত থাকতে হত শুধু মিটিং-মিছিলে, মানুষের উন্নয়নে নয়। তাই মানুষের জন্য কাজ করার সৎ লক্ষ্য নিয়ে গড়বেতার শঙ্করকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের করমশোল গ্রামের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা সোমা টুডু-সহ ১০০ জন বিজেপির কর্মী এবং সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে।
এতজন সদস্যের পদত্যাগে ভোটের আগে কার্যত বড়সড় ধাক্কা লাগল গেরুয়া শিবিরে। গতকাল মেদিনীপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। জেলা পরিষদের সভাপতি উত্তরা সিংহ হাজরা জানান, ‘পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েও গ্রামের মানুষদের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছিলেন না সোমা। এতে গ্রামবাসীদের কাছে তাঁর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হচ্ছিল। এ জন্যে সোমা তাঁর সাথে দেখা করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।’ এর পরেই তাঁরা পদত্যাগ করেন।
বাংলার মানুষের উন্নয়ন করতে তৃণমূলই যে এক এবং অদ্বিতীয় তা আবারও প্রমাণ হল এই ঘটনায়। বিজেপিতে থাকাকালীন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেননি বলেই উন্নয়নের রথ এগিয়ে নিয়ে জেতে তৃণমূলে অংশ নিলেন সোমারা। আবারও প্রমাণ হয়ে গেল বিজেপির অন্তঃসারশুন্যতা। এই প্রসঙ্গে উত্তরা জানিয়েছেন, ‘করমশোল গ্রামে বিজেপি করার মত আর কেউ রইল না। পুরো একটা গ্রাম এখন বিজেপি শুন্য। এটাই আমাদের ব্রিগেডের উপহার।’