পুনর্বহালের একদিনের মধ্যেই ফের সিবিআই অধিকর্তা পদ থেকে অপসারিত করা হল অলোক বর্মাকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর বুধবারই তিনি কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ঠিক তার পরের দিনই কোপ পড়ল অলোক বর্মার ওপর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সিলেক্ট কমিটির বৈঠকে সিভিসি রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই অলোক বর্মাকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, দপ্তরে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই অস্থায়ী প্রধানের জারি করা সব বদলির নির্দেশিকা খারিজ করে দিয়েছিলেন সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মা। সিবিআইয়ের অস্থায়ী অধিকর্তা পদে আসার পরেই অলোক বর্মার টিমের ১০ সিবিআই অফিসারের বদলির নির্দেশিকা জারি করেছিলেন নাগেশ্বর রাও। শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা মেনে দপ্তরে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই সেই নির্দেশিকা বাতিল করে দেন অলোক বর্মা। যদিও শীর্ষ আদালত তাঁকে পদে ফেরানোর সময় সতর্ক করে জানিয়েছিল কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এদিকে সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মার ভাগ্য নির্ধারণ করতে নিয়োগ কমিটিকে সামনে রেখে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি একে সিক্রি এবং বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাগড়ে। সেখানে ২:১ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অলোক বর্মাকে অপসারিত করার পদক্ষেপ করা হয়। সিভিসি রিপোর্ট অলোক বর্মার বিরুদ্ধে গিয়েছে বলে খবর।
এদিকে বর্মাকে অপসারণের পরই বিভিন্ন মহল থেকে শুরু হয়েছে সমালোচনা। বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্তভূষণ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘অলোক বর্মাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়ে কীভাবে একজনকে সরিয়ে দেওয়া যায়?’
অলোক বর্মাকে সরানো নিয়ে মোদীকে নিশানা করেছে কংগ্রেসও। দলের পক্ষ থেকে এক টুইটে বলা হয়েছে, অলোক বর্মাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ফের মনে করিয়ে দিলেন তিনি সিবিআই বা যৌথ সংসদীয় কমিটির দ্বারা তদন্তে ভয় পান।
