সারা বছর ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে কিছু না কিছু উপহার দিয়ে যান। সে কন্যাশ্রী, সবুজসাথীর মতো উন্নয়নমূলক প্রকল্পই হোক বা কৃষি ঋণ মকুবের মতো আর্থিক সুবিধা। বাংলার মা-মাটি-মানুষের স্বার্থে তাঁর উপহারের ঝুলি তিনি সবসময়ই খুলে রাখেন। এবার তাঁর পক্ষ থেকে নতুন বছরের উপহার পৌঁছে গেল রাজ্যের সমস্ত স্কুল পড়ুয়াদের কাছে।
চিঠির চল অনেকদিন আগেই চলে গিয়েছে। মাঝে নতুন বছর বা অন্য অনুষ্ঠানে গ্রিটিংস কার্ডের জনপ্রিয়তা ছিল। কিন্তু এখন এই ইন্টারনেটের যুগে সবটাই হয়ে যায় মোবাইল ফোনে। তবে তারই মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি স্কুল পড়ুয়াকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে এবং নিজের সই করা চিঠি পাঠিয়ে তাদের মন জিতে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের সবকটি স্কুলের সকল ছাত্রছাত্রীকেই এই চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো প্রতিটি স্কুলে পৌঁছে যাচ্ছে সেই চিঠি। ইতিমধ্যেই অনেক স্কুলে তা বিলি করা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তা হাতে পেতেই হাসি চওড়া হয়েছে ছেলেমেয়েদের মুখে।
কী লেখা আছে ওই চিঠিতে? মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব প্যাডে লেখা ওই চিঠিতে বয়ান—
প্রিয়,
নতুন বছরের শুরুতে তোমাদের সবাইকে আমার অনেক অনেক অভিনন্দন।
তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ, সমাজ গড়ার কারিগর। ভালোভাবে লেখাপড়া শিখে জীবনে অনেক বড় হও— এই শুভকামনা রইল।
তোমার সকল অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শুভানুধ্যায়ীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই।
ভাল থেকো, সুস্থ থেকো।
স্নেহ, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা সহ, মমতা ব্যানার্জ্জী।
যে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রায় রোজই টিভির পর্দায় দেখা যায়, মঞ্চে দামি দামি কথা বলতে দেখা যায়, খবরের কাগজে যাঁর হাসিমুখের ছবি প্রায় রোজই জ্বলজ্বল করে, তাঁরই হাতে সই করা চিঠি পাওয়া কি চাট্টিখানি কথা! ফলে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে আত্মহারা প্রতিটি ছাত্রছাত্রীই। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য, ‘ছোটরা সত্যিই অভিভূত। সকলেই যত্ন করে বইয়ের ভাঁজে ওই চিঠি রেখে দিচ্ছে।’
তবে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেয়ে যে শুধু পড়ুয়ারাই খুশি তা নয়, খুশিতে ভাসছে তাদের অবিভাবকরাও। সব মিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়া, সকলেরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন ওই চিঠি।