খুব কঠিন পরিস্থিতিতে মোহনবাগানের কোচের চেয়ারে বসলেন আইজল এফসি-কে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন করা কোচ। রিয়েল কাশ্মীরের কাছে হারের পরেই সাংবাদিক বৈঠকে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন শঙ্করলাল চক্রবর্তী। তাঁর এহেন বক্তব্যের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বাগান-কর্তারা শঙ্করলালের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করে নেন।
ফলে বাগান-কোচের চেয়ারে নতুন কাউকে বসাতেই হতো। তাই ২০১৮-১৯ মরশুমের বাকি পর্বে পালতোলা নৌকার দায়িত্ব নিলেন খালিদ জামিল।
২০১৭-১৮ মরশুমে ইস্ট বেঙ্গলের দায়িত্বে ছিলেন খালিদ জামিল। সেবার কলকাতা লিগ জিতলেও ১৮ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট পেয়ে আই লিগে চতুর্থ হয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই পর্বে খালিদের সংস্কারপ্রবণতা ও সন্দেহবাতিক মনোভাব নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল ইস্ট বেঙ্গলের অন্দরে। মরশুমের শেষ পর্বে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে এই মুম্বইকরের বাদানুবাদও ছিল সংবাদমাধ্যমে বহুচর্চিত বিষয়। ফুটবলারদের মধ্যে বিশেষ একটি গ্রুপ তৈরি করে তাঁদের উপরেই নির্ভর করেন খালিদ। তবে এটাও ঠিক, কোচ হিসেবে পরিশ্রম করতে ভয় পান না তিনি। দেখা যাক, চলতি মরশুমে আই লিগে মোহন বাগানকে কোন জায়গায় পৌঁছে দিতে পারেন খালিদ।
প্রতিটি কোচকেই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ইস্টবেঙ্গলে থাকার সময়ে খালিদ বুঝেছিলেন, কলকাতায় কোচিং করানো কী কঠিন ব্যাপার! এবার তাঁর কাজটা খুবই কঠিন। আইলিগে মোহনবাগান এখন ৬ নম্বরে। ১১ ম্যাচ থেকে ১৫ পয়েন্ট পেয়ে গঙ্গাপারের ক্লাব এখন ধুঁকছে। চলতি মাসের ৯ ও ১২ তারিখ সবুজ-মেরুন-এর পর পর দুটো ম্যাচ রয়েছে। চটজলদি স্ট্র্যাটেজি বদলে ফেলা সহজ ব্যাপার নয়। খালিদকে এবার কঠিন পরীক্ষায় বসতে হবে, বলাই বাহুল্য। ৯ তারিখে মোহনবাগানের সামনে মিনার্ভা। তার তিন দিন পরেই নেরোকা। এত দ্রুত কি খালিদ মানিয়ে নিতে পারবেন? উত্তর আপাতত সময়ের গর্ভে।