দেশের মঞ্চে বারংবার মুখ উজ্জ্বল হয়েছে বাংলার৷ এবার বাংলার সাফল্যের মুকুটে যোগ হল আরো এক অনন্য পালক৷ পাঞ্জাবে আয়োজিত বিজ্ঞান কংগ্রেসে সব রাজ্যকে পিছনে ফেলে জয়ী হল পশ্চিমবঙ্গ৷ মানবস্বার্থে গবেষণার জন্য উঠে এল ৯ কৃতী বাঙালির নাম৷
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, জগদীশচন্দ্র বোস, সত্যেন্দ্রনাথ বোস এইসমস্ত বিজ্ঞানীদের সাফল্যের ধারাবাহিকতার মশাল জ্বালিয়ে রাখার দায়িত্ব নিলেন বাংলার ৯ কৃতী গবেষক৷ তাঁদের মধ্যে ৮ জনই রাজ্যের বিভিন্ন গবেষণালয়ে গবেষণা করছেন৷ তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার পেয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রীপর্ণা মাজি, সেন্ট জেভিয়ার্সের সোহানা দত্ত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিয়োতিমা সরকার ও ঋতম সরকার৷ সিএসআইআর দূর্গাপুরের প্রসেনজিৎ দাস৷ শ্রেষ্ঠ পোস্টার পুরস্কার পেয়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয়ঙ্কা চক্রবর্তী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্রাট পাল এবং জ্যোতির্ময় গোস্বামী৷ আইসিওআর দিল্লির বাঙালি গবেষক দেবাশিস দলুই৷
এনাদের মধ্যে শ্রীপর্ণা কোলেস্টরলের ওষুধের সঙ্গে ম্যাগনেটিক ন্যানোপার্টিকাল মিশিয়ে আবিষ্কার করেছে এক অনন্য চিকিৎসা পদ্ধতি৷ দিয়োতিমা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে থাইরয়েড নিয়ে গবেষণা করেছেন৷ ঋতমের গবেষণার বিষয় খনিজ বর্জ্য৷ সোহানা ফেলে দেওয়া জিনিস যেমন আখের ছিবড়ে, নারকোলের ছোবড়া, তুশ ইত্যাদি দিয়ে এমন এক মন্ড তৈরি করেছেন যা কিনা মাশরুম তৈরিতে সহায়ক৷ প্রিয়ঙ্কার গবেষণার বিষয় গাছের হরমোন দিয়ে তাদের জীবনশক্তি বৃদ্ধি৷
প্রত্যেকের গবেষণাই যে সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে সে বিষয়ে আশাবাদী প্রবীণ বিজ্ঞানীরা৷ সে কারণেই দেশের সমস্ত রাজ্যকে পিছনে ফেলে সবথেকে বেশি পুরস্কার উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের হাতে৷