শ্রমিক সংগঠনের ডাকা দু’দিনের ধর্মঘট রুখতে আরও কড়া হল রাজ্য সরকার। এই নিয়ে এবার লিখিত নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, আইনশৃঙ্খলার কোনও চ্যুতি বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ এবং প্রশাসনকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হল নিরাপত্তা রক্ষার।
সরকারি অফিস, বিল্ডিং, রেল – এই সব সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে সমস্ত জেলাশাসক ও থানাকে আলাদা করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘট ঘিরে কোনও রকম বেআইনি কাজও বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। নবান্নের তরফে ডিজি, এডিজি এবং ডিভিশনাল কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। সরকারি অফিসগুলিতে যাতে কোনও রকম বনধ না হয় তা-ও নিশ্চিত করতে হবে। বনধের দু’দিন রাস্তায় অতিরিক্তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। বনধের দিন কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নেওয়া হচ্ছে কড়া পদক্ষেপ। মঙ্গল ও বুধবার শহর জুড়ে থাকছে অতিরিক্ত পুলিস ফোর্স। জানা গেছে, কলকাতার রাস্তায় থাকছে তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স। ৩০০ পুলিস পিকেট থাকছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে মোতায়েন করা হচ্ছে পুলিশ বাহিনী। অফিসপাড়া, রয়টার্স, ফেরিঘাট, মেট্রো স্টেশন চত্বর, বড়োবাজার এলাকা, বাস টার্মিনাসগুলিতে অতিরিক্ত পুলিস মোতায়েন থাকবে।
লালবাজারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বনধের নামে কোনও গুণ্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। জোর করে রাস্তা আটকালে বা গুণ্ডামি করলে কিংবা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে ত ত্ক্ষণাত্ গ্রেফতার করা হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এইচআরএফএস (হিউম্যান রাইটস ফার্স্ট সোস্যাইটি) ও আরএফএস টিম মোতায়েন থাকবে। লালবাজারের কন্ট্রোল রুম থেকে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হবে।