যোগী আদিত্যনাথকে সরিয়ে রাজনাথ সিংহকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুললেন উত্তরপ্রদেশে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা সঙ্ঘপ্রিয় গৌতম। পাশাপাশি নিতিন গডকড়ীকে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী করারও দাবি তুলেছেন তিনি। তবে শুধু উত্তরপ্রদেশই নয়, সারা দেশেরই খোলনলচে বদলের দাবি তুলেছেন গৌতম।
শুধু মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াই নয়, যোগী আদিত্যনাথকে রাজনীতি থেকেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হোক বলে জানিয়েছেন সঙ্ঘপ্রিয়। তাঁর কথায়, ‘যোগী আদিত্যনাথকে ধর্ম-কর্মের কাজে পুরোপুরি পাঠিয়ে দেওয়া হোক’।
শুধু যোগী আদিত্যনাথই নন, সঙ্ঘপ্রিয় গৌতমের নিশানায় আছেন খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও। তাঁর দাবি, অমিত শাহ-র সরে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। তাঁর জায়গায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে নিয়ে আসা হোক মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে।
দেশের অন্যতম নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদীকে মেনে নিলেও এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার দাবি, ‘এই বছর লোকসভা নির্বাচনে মোদী ম্যাজিক কাজ করবে, সেই সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। দলের কর্মী এবং সমর্থকেরা ভিতরে ভিতরে তা বুঝতে পারছেন।’নরেন্দ্র মোদীর সেই খামতি ঢাকতেই নিতিন গডকরীর মতো কাউকে উপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার দাবি করেছেন সঙ্ঘপ্রিয়। এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে দু-একটি রাজ্য ছাড়া বাকি সব জায়গাতেই বিজেপি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সঙ্ঘপ্রিয় গৌতম উত্তরপ্রদেশ বিজেপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা। দীর্ঘদিন রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় কৃষি এবং গ্রামোন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছেন। তাই তাঁর মন্তব্য হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না কেউই।
সদ্যসমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফল করার পর থেকেই বিজেপির অন্দরে নরেন্দ্র মোদী- অমিত শাহ জুটির একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এতদিন মুখ না খুললেও এখন মাঝে মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে দলের মধ্যে বিক্ষোভের আঁচ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, এই বিক্ষোভের পিছনে থাকতে পারে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মদতও। নির্বাচনের আগে এই বিক্ষোভ সামাল দেওয়াও এখন বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির সামনে।