ক্ষমতায় আসার পর সাগরমেলার পরিকাঠামো আমূল বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর উদ্যোগে যোগাযোগ, থাকার ব্যবস্থা, রাস্তা, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয় যথাযথ ভাবে৷ এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ পুণ্যার্থীদের জন্যে সম্পূর্ণ তৈরি সাগর মেলা৷
জেলা প্রশাসন আগামী ৯ তারিখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে দিচ্ছে এবারের সাগরমেলা। চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান এবার দু’দিন পড়েছে। ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি চলবে এই পুণ্যস্নান। সেই ক্ষণের অপেক্ষা না করে ভিড় এড়াতেই আগেভাগে হাজার হাজার পুণ্যার্থী স্নান সেরে বাড়ি ফিরছেন।
মেলায় ইতিমধ্যে চলে এসেছেন নাগা সাধুরা। আগামী কয়েকদিনের আরও নাগা সাধু চলে আসবে। কপিল মুনির মন্দিরের পাশেই নাগাদের আখড়ায় কিছুটা অলসভাবে বসে নাগা ভৃগুরাজ মহারাজ। তিনি বলেন,‘কয়েকদিনের মধ্যে বাকিরা চলে আসবে। পুণ্যার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভিড় আরও বাড়বে।’
গতকাল সকাল ১১টা নাগাদ ৪ নং জেটিতে চোখে পড়ল ভিনরাজ্যের পুণ্যার্থীদের। সেই পরিচিত চেহারা। মাথায় পাগড়ি। পরনে আধময়লা পোশাক। মাথায় বোঁচকা। মুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসেল পেরিয়ে পুণ্যার্থীরা এগিয়ে চলেছেন সাগরের দিকে। আসার পথে কাকদ্বীপের লট নং আটে আশেপাশের মাঠে অস্থায়ী ছাউনি থেকে বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বেশ কয়েকটি পুণ্যার্থীদের বাস দাঁড়িয়ে আছে। এবারের মেলার জন্য লট নং আটে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ৫টি জেটি করা হয়েছে। মুড়িগঙ্গা নদীতে চলছে ড্রেজিংয়ের কাজ। কচুবেড়িয়াতেও তৈরি হয়েছে কয়েকটি জেটি। এখানে তোরণে নতুন রঙের পোচ পড়েছে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা চত্বরকে৷ নজরদারি চলবে ড্রোন এবং বেলুন ক্যামেরার মাধ্যমে৷ মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষনা করেছেন মেলা চলাকালীন প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে তাঁর পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷
এবারের মেলায় ‘তীর্থসাথী’ নামে একটি মেগা কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর সেই কন্ট্রোলরুমের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে মেলার সমস্ত তথ্য থাকবে। থাকছে বাবুঘাট থেকে মেলা পর্যন্ত সমস্ত সিসি ক্যামেরার মনিটর। থাকছে আবহাওয়ার শেষ পরিস্থিতি জানার সুযোগ। এখান থেকেই পরিচালিত হবে এবছরের মেলা।