দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট। কিন্তু ৫ রাজ্যের বিধানসভায় ভরাডুবির পাশাপাশি নোটবন্দী, জিএসটি, এনআরসি-সহ একাধিক ইস্যুতে ক্রমেই ফ্লপ করছে মোদী ম্যাজিক। তাই ভােটের আগে সিঁদূরে মেঘ দেখেই এবার আসামে এসে হিন্দুত্বের বাণী প্রচার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে ভুলে গেলেন আসামবাসীকে প্রায় ৫ বছর আগের দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি।
মুখে হিন্দু হিন্দু করলেও মোদীর শুক্রবারের সভায় বিদেশি সন্দেহে ধৃতদের বন্দিশালা ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’ নিয়ে কোনও মন্তব্য না থাকায় বেশি হতাশ হলেন খোদ হিন্দুরাই। তাঁর ভাষণে বাঙালি অধ্যুষিত শিলচরে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির বদলে ছিল কংগ্রেসকে আক্রমণ আর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস প্রতিশ্রুতি। যার ফলে উদ্বেগ বা হতাশা কাটার বদলে আরও বেড়ে গেল শিলচরের।
শুক্রবারই উত্তর-পূর্ব ভারতের ২৫ টি আসনের জন্য ভোট প্রচার শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে ইম্ফলে সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। এরপর সেখান থেকে সোজা উড়ে আসেন শিলচরে। সেখানে ছিল বিজেপির ‘বিজয় সংকল্প সমাবেশ’। প্রায় ৫ বছর আগে, গত লোকসভা ভোটের প্রচারে ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিজেপির ‘বরাক বিকাশ সমাবেশ’-এ এসেছিলেন তিনি। তাঁর দেওয়া সেই ৬ দফা প্রতিশ্রুতি তুলে কাছাড় জেলা কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিল।
উল্লেখ্য মােদীর সেদিনের প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল, ক্ষমতায় এলে বিদেশি সন্দেহে ধৃতদের জেলের ভেতর আটকে রাখার ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্পই গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ৫ বছরের একটি ক্যাম্পও বন্ধ হয়নি। বরং একটি নতুন করে তৈরি হচ্ছে। আবার মোদীর প্রতিশ্রুতি ছিল হিন্দুস্তান কাগজ কলের পুনরুজ্জীবন। কিন্তু রুগণ কারখানাটি এখন বন্ধ। কর্মীরা প্রায় দু’বছর ধরে বেতন না পাওয়ায় ধর্না দেন শিলচরে।