তৃণমূল সরকার বরাবরই কর্মনাশা বনধের বিরোধী। তাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ৮ ও ৯ জানুয়ারি বিভিন্ন শ্রমিক ও কর্মচারী সংগঠনের দেশ জুড়ে ডাকা দুদিনের সাধারণ ধর্মঘটে যাতে রাজ্য সচল থাকে সেজন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাজ্য। সাধারণ মানুষের সবার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই দুদিন বাংলার জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে যাবতীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি কর্মচারিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বের করা হয়েছে কড়া নির্দেশিকা।
এতেই তেলে-বেগুনে চটেছে বাম শিবির। নিজেদের হাত থেকে ধর্মঘটের অস্ত্র বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিষয়টিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে আসরে নেমে পড়েছে তারা। যদিও তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে এনেছেন। ওরা যে ভাবেই প্রচার করুক না কেন, কর্মচারীরা তাতে বিশেষ আমল দেবেন না। স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, সবই থাকবে সচল’।
অন্য দিকে, ধর্মঘটের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় শুক্রবার তা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। তাঁর বক্তব্য ছিল, বিভিন্ন সময় বন্ধ নিয়ে হওয়া জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এবং দেশের বিভিন্ন হাইকোর্ট একে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক হাইকোর্ট। তিনি আরও জানান, বন্ধে ক্ষতিগ্রস্তদেরও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে যারা বন্ধ ডাকছে তাদের।