শহরে নজরদারি বাড়াতে এবার সাইকেলকেই হাতিয়ার করেছে পুলিশ। শুধুমাত্র জিপ বা পুলিশ ভ্যান ব্যবহার করে অলিগলিতে নজরদারি চালানো সমস্যা ছিল একাধিক। ফলে অপরাধ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সাইকেল ব্যবহারে সুফল মিলছে হাজারও।
মাসখানেক হল কলকাতা পুলিশের সাউথ সাবার্বান ডিভিশনের (এসএসডি) প্রতিটি থানাকে দু’টি করে সাইকেল দেওয়া হয়েছে। দিনে-রাতে তাতে চড়ে নজরদারি চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। এতে অপরাধের সংখ্যাও যেমন কমেছে, তেমনই ভরসা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষও।
কেন এসএসডিতে সাইকেলের প্রয়োজন হল? সূত্র জানাচ্ছে কারণ একাধিক। এই ডিভিশনটি একেবারে কলকাতা পুলিশ এলাকার এক প্রান্তে। এবং এলাকাটি বেশ ঘিঞ্জিও। যাদবপুর, নেতাজিনগর, গড়ফায় রয়েছে প্রচুর কলোনি। রিজেন্ট পার্ক, বাঁশদ্রোণী আবার সোনারপুর লাগোয়া। বহু জায়গায় রাস্তা সরু ও কাঁচা।
এ সব এলাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ লেগে থাকে। আর সীমানাবর্তী হওয়ায় অপরাধ ঘটিয়ে খুব অল্প সময়েই অপরাধীরা অক্লেশে পালিয়ে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। যা কিনা রাজ্য পুলিশের অন্তর্গত। নজরদারিতে গাড়ি বা বাইক অনেক সময়েই কাজে আসে না।
সে জন্য প্রতিটি থানায় দেওয়া হয়েছে দু’টি করে সাইকেল। যাতে অলিগলিতে নজরদারি করা যায়। দুপুরে ও রাত দশটার পর থেকে সাইকেলে চড়ে পুলিশকর্মীরা টহলদারি করছেন। পুলিশের দাবি, মাসখানের আগে থেকে সাইকেল পুলিশ নিয়মিত ভাবে টহলদারি শুরু করায় প্রতিটি থানা এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার হয়েছে।
এসএসডি-র অন্তর্গত মোট ৭টি থানা- যাদবপুর, গড়ফা, সার্ভে পার্ক, কসবা, রিজেন্ট পার্ক, বাঁশদ্রোণী এবং নেতাজিনগর। এই ৭ থানার উর্দিধারীদের সাইকেলে দেখে বেশ ‘কাছের মানুষ’ বলেই মনে করছেন জনসাধারণ। আবার পুলিশের খরচও কমেছে। কারণ পেট্রোলের খরচ বাঁচিয়ে এসেছে পরিবেশবান্ধব নজরদারি। খোদ পুলিশকর্মীরাও বলছেন, সাইকেল চালিয়ে তাঁরা বেশ ফিট রয়েছেন। সব মিলিয়ে নতুন বাহনে চেপে এখন আরও বেশি সক্রিয় পুলিশ।