১৯৮১ সালে মেলবোর্নে ভারতের জয়ের রূপকার ছিলেন কপিল দেব। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে জিতিয়েছিলেন দলকে। সদ্য মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ম্যাচ-জেতানো বোলিংয়ে ক্রিকেটমহলের নজর কেড়েছেন জশপ্রীত বুমরা। তিনি চমকে দিয়েছেন স্বয়ং কাপিলকেও। যার সুবাদে ৩৭ বছর পর এমসিজিতে টেস্ট জিতল ভারত।
নিয়মিত উন্নতি করে চলেছেন জসপ্রীত বুমরা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আগুনে বোলিং করছেন। বুমরাকে সামলাতে হিমশিম অবস্থা টিম পেইনদের। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এতটাই সাফল্য পাচ্ছেন যে কপিল দেবও মুগ্ধ হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেই দিলেন, ‘বুমরা আমাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। ওকে যখন প্রথম দেখেছিলাম। বোলিং অ্যাকশন দেখে মনে হয়েছিল খুব বেশী সাফল্য হয়ত পাবে না। কিন্তু বুমরা এখন দারুণ সাফল্য পাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য ওঁকে শুভেচ্ছা। মানসিক দিক থেকেও বুমরা যথেষ্ট শক্তিশালী।’
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব বলেছেন, ‘ছোট্ট রান আপে নিয়মিত ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করে যাচ্ছে বুমরা। ওঁর কাঁধটা যথেষ্ট শক্তিশালী। বুমরার মতো বোলার বেশি দেখা যায় না। নতুন বল হোক কিংবা পুরনো। বুমরা উইকেট তুলে নিচ্ছে। বাউন্সার দিয়ে বিপক্ষকে চমকে দিচ্ছে। লাইন–লেংথে অবিচল। বল করার সময় মাথা খাটায়। যার ফলে বিশ্বক্রিকেটে অন্যতম সেরা বোলার এখন বুমরা।’
শ্রীনাথও বুমরার মতো দ্রুত উঠে এসেছিলেন। জাহিরের সময় লেগেছিল। কপিল মনে করেন, ‘চোট পেয়ে গেলেই মুশকিল। ছন্দ হারিয়ে যায়। মহম্মদ সামির ক্ষেত্রে যা ঘটেছে।’ এরপরই কপিলের সংযোজন, ‘ঘরের মাঠে অশ্বিনের উপর বাড়তি দায়িত্ব থাকে। বিদেশে সেই দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে বুমরা।’
বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের ২-১ এগিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে বড় অবদান বুমরারই। এই বছরেই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তাঁর। ডানহাতি পেসার নয় টেস্টে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। সিডনিতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে সিরিজের শেষ টেস্ট। যেখানে বুমরাই কোহলিদের প্রধান অস্ত্র।