নতুন বছরের শুরুতেই ভারতীয় ক্রিকেটে শোকের আবহ। চলে গেলেন রমাকান্ত আচরেকর। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ৮৭ বছর বয়সে নিজের বাড়িতেই জীবনাবসান হল তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন রমাকান্ত। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নতুন বছরের শুরুতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন আচরেকার।
শচীন তেণ্ডুলকরের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে গেছে আচারেকরের নাম। কিন্তু শুধু শচীন নন, তাঁর শিষ্য ছিলেন বিনোদ কাম্বলি, অজিত আগরকর, চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, প্রবীণ আমরে, সঞ্জয় বাঙ্গারের মতো তারকারাও। ১৯৩২ সালে মহারাষ্ট্রের মালভনে জন্মগ্রহণ করেন রমাকান্ত। ১৯৪৩ সালে ক্রিকেটে হাতেখড়ি। বছর দুয়েক পর নিউ হিন্দ স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে ক্লাব ক্রিকেটে পা রাখা। পাশাপাশি মহারাষ্ট্র একাদশ, গুলমোহর মিলস এবং মুম্বই পোর্টের হয়েও খেলেছেন। ১৯৬৩-৬৪ সালে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অল-ইন্ডিয়া স্টেট ব্যাংকের হয়ে একমাত্র প্রথম শ্রেণির ম্যাচটি খেলেছিলেন তিনি। তবে কোচিংয়ে পা রেখেই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছিলেন।
ভারতীয় ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছিলেন দ্রোণাচার্য পুরস্কার। এমনকী, পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত হন রমাকান্ত আচরেকর। বয়সজনিত নানা সমস্যায় বেশ কয়েক বছর ধরেই ভুগছিলেন শচিনের গুরুমশাই। মাঝেমাঝেই ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ গিয়ে দেখা করে আসতেন তাঁর সঙ্গে। ইদানীং শরীর বেশ দূর্বল হয়ে পড়েছিল। বুধবার বিকেলে এই অকৃতদার মানুষটির এক আত্মীয়া সংবাদ মাধ্যমকে তাঁর মৃত্যুর খবর দেন। ভারতীয় ক্রিকেট আবহে যা আনল শোকের ছায়া।