চলতি মাসের ৬ তারিখে দীঘার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পেনাল্টি ও সুদ-সহ বকেয়া সেল ট্যাক্সের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন কাজুশিল্প সংগঠনের নেতৃত্ব। তখনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। মাস না ঘুরতেই নিজের দেওয়া কথা রাখলেন তিনি। এবার রাজ্যের রুগণ কাজুশিল্পের ওপর থেকে পেনাল্টি ও সুদ-সহ বকেয়া কোটি কোটি টাকার পণ্যশুল্ক ছাড়ের কথা ঘোষণা করল তাঁর সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় নতুন করে দিশা দেখতে পেয়েছেন কাঁথির কাজু-কারবারিরা। বেঙ্গল কাজু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ আনোয়ারউদ্দিন জানিয়েছেন দীঘার প্রশাসনিক সভার পরই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার ট্যাক্সের সঙ্গে যুক্ত হওয়া পেনাল্টি ও সুদ বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। করের টাকা এককালীন কেউ জমা দিতে চাইলে ৭৫ শতাংশ টাকা ছাড় দেবে সরকার। ৩১ মার্চের মধ্যে কেউ সঠিক কাগজপত্র জমা দিতে পারলে তাঁকে কোনও বকেয়া ট্যাক্সও দিতে হবে না।’
কাজুতে প্রসিদ্ধ কাঁথি। কিন্তু কেন্দ্রের নোট বাতিল আর জিএসটির গুঁতোয় কার্যত বিপন্ন হয়ে পড়েছিল কাঁথির এই নিজস্ব শিল্প। ৮০০টি কাজু কারখানার ৫০০টি ধুঁকতে ধুঁকতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এখন বাকি ৩০০টি কারখানা চলছে প্রায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই। ফলে রীতিমতো বিপন্ন হয়ে পড়ে কাঁথির কাজুশিল্প। তাই এমন পরিস্থিতিতে বিপন্ন কাজুশিল্পকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন কাজুশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলেই।