ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে থেকেই বলা হচ্ছিল, স্টিভেন স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নার বিহীন অস্ট্রেলিয়া নখদন্তহীন বাঘ। মেলবোর্ন টেস্টে হেরে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর অজি অধিনায়ক টিম পেইনের কণ্ঠেও ফুটে উঠল বিষয়টি। অ্যাডিলেডে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের কাছে বিশ্রী হারের ধাক্কা কাটিয়ে পার্থে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিরিজে সমতা ফেরানোর পর টিম পেইনের দল একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল। যার পরিণতি মেলবোর্নে হার।
তৃতীয় টেস্টে ভারতের বিরুদ্ধে ১৩৭ রানে হেরে সিরিজে ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ শেষে অজি ক্যাপ্টেন টিম পেইন কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন, ভারতের এই শক্তিশালী বোলিংয়ের বিরুদ্ধে স্মিথ-ওয়ার্নারহীন এই অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। অজি অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের দলে অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি। স্নায়ুর চাপটা নিতে পারিনি। ভারতীয় বোলিং খুবই শক্তিশালী। আমাদের দলের অধিকাংশ ব্যাটসম্যানই অতীতে এমন বোলিংয়ের মোকাবিলা করেনি। যে কোনও দলের সেরা দু’তিনজন ক্রিকেটারকে সরিয়ে নিলে সমস্যা হবেই। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা থাকবে না। আমাদের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। পার্থে কঠিন উইকেট হলেও আমাদের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান কিন্তু ভালো খেলেছিল। সেই তুলনায় মেলবোর্নে আমরা হতাশ করেছি। এটা সময়ে সময়ে ঘটে থাকে। আমাদের উন্নতি করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। তবে এটা সত্যিই, একটা দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ৬ জন অনভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান থাকলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।’
অজি অধিনায়ক বলেন, ভারতের এই দলটা থেকে বিরাট কোহালি এবং চেতেশ্বর পূজারাকে সরিয়ে নিলে তাদেরও একই অবস্থা হবে। তার ভাষায়, ‘কোহালি আর পূজারাকে ওদের দল থেকে সরিয়ে দিন, তখন বুঝবেন ভারত সম্পর্কেও একই আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। সেরা ক্রিকেটারদের না পেলে আসলে যে কোনো দলই ভুগবে।’
অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়ার পরেও পারথে দারুণ কামব্যাক করেছিলাম। কিন্তু সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারলাম না তৃতীয় টেস্টে। আবার সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লাম। সত্যিই খুব হতাশ। দলের মনোবল ভেঙে গিয়েছে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কাজটা সত্যিই কঠিন। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে হয়। আমরা ভুল-ত্রুটিগুলি দ্রুত শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব। এখন সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে। এটা জোর গলায় বলতে পারি, বিশ্বমানের ক্রিকেটাররা ফের দলে ফিরবে। তখন তফাৎ চোখে পড়বে।’