আগেই জোট ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা বয়কট করল শরিক আপনা দল ও সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি। প্রধানমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্র বারাণসী ও গাজিপুরের সভায় না থেকে সেই ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট করে দিল তারা।
পাঁচ রাজ্যে ভরাডুবির পর থেকেই একে একে সঙ্গ ছাড়ছে শরিকরা। বিহারে জেডিইউ এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি বিজেপির হাত ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। শিবসেনা আগেই ফোঁস করেছে। রামবিলাস পাসোয়ানের দলও ক্ষোভ জানিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের এই দুই শরিক দলও বিজেপির বিরুদ্ধে ‘অহঙ্কার’, ‘অবহেলা’র অভিযোগ তুলছিল। সেটাই এ বার প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে প্রকাশ্যে চলে এল।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপি নেতাদের ঔদ্ধত্যে তারা আঘাত পাওয়ায় মোদীর অনুষ্ঠান তারা বাতিল করেছে বলে জানিয়েছে আপনা দল। দলীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেলকেও বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আপনা দলের নেতাদের।একই ভাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত জানান রাজভড়ও। পূর্ব উত্তরপ্রদেশে রাজভড়দের মন জিততেই আজ তাঁদের নেতা মহারাজা সুহেলদেবের স্মরণে ডাকটিকিট প্রকাশ করেছেন মোদী। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি।
এই প্রসঙ্গে আপনা দলের রাজ্যের প্রধান আশীষ প্যাটেল বলেন, ‘সমাজের দুর্বলতর অংশকে অপমান করছে বিজেপি। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।’ একই ভাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত জানান রাজভড়ও। পূর্ব উত্তরপ্রদেশে রাজভড়দের মন জিততেই আজ তাঁদের নেতা মহারাজা সুহেলদেবের স্মরণে ডাকটিকিট প্রকাশ করেছেন মোদী। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি।
একদিকে অখিলেশ-মায়াবতীর সম্ভাব্য জোট, অন্যদিকে শরিকদের ক্ষোভ। সব মিলিয়ে মোদীর উত্তরপ্রদেশ জয় কঠিন হয়ে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।