মেলবোর্নে অজি বোলারদের ওপর কর্তৃত্ব করলেও ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কিন্তু বেশ মন্থর গতির ব্যাটিং করেছেন। স্কোরবোর্ডই তার প্রমাণ। মাত্র ২.৬১ গড়ে রান তুলেছেন কোহালিরা। পন্টিং ঠিক এই জায়গাটা নিয়েই কথা বলেছেন। আলাদা করে উল্লেখ করেছেন পূজারার ব্যাটিংয়ের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে চেতেশ্বর পূজারা প্রথম ইনিংসে ৩১৯ বলে ১০৬ রান করেছেন। টেস্টে এটি তাঁর মন্থরতম ব্যাটিং। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং বলেছেন, ‘পূজারার এই মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য ভারতকে ভুগতে হতে পারে। তবে ভারত যদি এই ম্যাচটা জিতে যায়, তাহলে পূজারার ইনিংস স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর উলটো হলে, পূজারার ইনিংসের দিকেই সবাই আঙুল তুলবে।’
পূজারা অবশ্য কোনও সমালোচনাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি, তখন সমালোচনাও সহ্য করতে হবে। কারও মুখ বন্ধ করতে যাওয়ার দরকার নেই। আমি জানি, সব জবাব রান করেই দিতে হবে। আর সেটা করতেই আমি বেশি ভালোবাসি। আমার কাজ রান করা, সেটা ধারবাহিকভাবে করে যেতে চাই। সেটা দেশে হোক বা বিদেশে। কখনও কখনও সমালোচনা মেনে নিতে হবে। তবে আমি যদি রান করি, দল জেতে, তাহলে সবাই খুশি হবে।’
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের ব্যর্থতা থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানিয়েছেন পূজারা। তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা খুবই মূল্যবান। ২০১৪ সালে আমি প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছিলাম। ব্রিসবেনে অর্ধশতরান করেছিলাম। শুরুটা ভালো করেও ৩০-৪০ রান করে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। তার মানে এই নয় যে, আমি এখানে খেলতে পারছিলাম মা। আমি হয়তো আগের সফরে অনেক রান করতে পারিনি, তবে অনেক কিছু শিখেছিলাম। আর সেটাই আমাকে এবারের অস্ট্রেলিয়া সফরে পর দু’টি শতরান পেতে সাহায্য করেছে।’
আপাতত অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান পূজারার। তিনি পাঁচটি ইনিংসে ৩২৮ রান করেছেন। দু’টি শতরান ও একটি অর্ধশতরানও করেছেন তিনি।
মেলবোর্নের সেঞ্চুরির থেকেও অ্যাডিলেডের ১২৩ রানকে এগিয়ে রাখলেন পূজারা। তিনি বলেন, ‘বিদেশ সফরে রান করতে পারার তৃপ্তি অন্যরকম। তবে এরকম সিরিজে প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করাটা সত্যিই স্পেশ্যাল।’