শরিকদের অসন্তোষ যে বিজেপিকে চিন্তায় রেখেছে সেটা এতদিনে স্বীকার করে নিলেন বিজেপি নেতা রাম মাধব।
জোট ভেঙেছেন চন্দ্রবাবু। হাত ছেড়েছেন মেহবুবা মুফতি। উপেন্দ্র কুশওয়াহা এনডিএ-কে বিদায় জানিয়ে বিরোধী জোটে শামিল হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শিবসেনার ধমক-চমক লেগেই আছে। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির অন্যতম সংগঠন ও প্রবীন নেতা রাম মাধব জানিয়ে দিলেন, নতুন শরিক খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পদ্ম শিবির। রাম মধবের কথায়, ‘জোট রাজনীতি মানেই সমঝোতা। আমরা সেটা করতেও রাজি। কিন্তু এটাও ঠিক উপেন্দ্র কুশওয়াহার মতো ছোট শরিক আমাদের সঙ্গ ত্যাগ করছে। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি নতুন সঙ্গীর খোঁজ করছে। পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতেই নতুন জোট সঙ্গী খুঁজছি আমরা’।
এনডিএ জোটের কোনও শরিক বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে। আবার কেউ বেশী সংখ্যক আসন ও ‘সম্মান’ চাইছে। সবমিলিয়ে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে বেজায় চাপে বিজেপি। সেই চাপের সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল, গত লোকসভা ভোটে বিহারে বেশী আসন পাওয়া স্বত্বেও নীতিশ কুমার ও রামবিলাস পাসোয়ানকে বহু সংখ্যক আসন ছাড়তে হয়েছে বিজেপিকে।
কিন্তু চারিদিক থেকে যখন শরিকরা বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ তখন কোন দল জোট করতে চাইবে এনডিএ-র সঙ্গে? এমন অবস্থায় ছোট এবং অনামী দলগুলির সঙ্গে জোট বাঁধতে চাইছে বিজেপি। তবে উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এবং এআইএডিএমকে বিজেপির প্রধান টার্গেট। বিশেষত, এআইএডিএমকে-র সঙ্গে বিজেপির জোট জল্পনা বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। দক্ষিণী অভিনেতা রজনীকান্তের দলের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখেছে বিজেপি। এখন ২০১৯ ভোটের আগে শেষ পর্যন্ত কারা গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে হাত মেলায় সেটাই দেখার।