এবার দলের মধ্যেই মোদীকে কোনঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল বিজেপিতে। নরেন্দ্র মোদীর নিন্দুক গোর্ধন ঝাড়াফিয়াকে দেওয়া হল উত্তর প্রদেশ বিজেপির দায়িত্ব। একসময় মোদীর বিরুদ্ধে বহু গালমন্দ করেছিলেন এই গোর্ধন। এবার বিতর্কিত গোর্ধন ঝাড়াফিয়াকেই নতুনভাবে দলে ফেরালো বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির দায়িত্ব পেলেন তিনি।
২০০৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের মন্ত্রিসভা থেকে গোর্ধন ঝাড়াফিয়াকে ছেঁটে ফেলেছিলেন গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে এও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বিধানসভার টিকিটও দেওয়া হবে না গোর্ধনকে। দেরি না করে নিজেই দল গড়ে সেবার বিধানসভা নির্বাচন লড়েছিলেন গোর্ধন। ২০১২ সালেও আর এক মোদি বিরোধী কেশুভাই প্যাটেলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনে লড়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে বারেও সাফল্য পাননি। শেষমেশ রণে ভঙ্গ দিয়ে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের বিজেপিতে ফিরে আসেন গোর্ধন ঝাড়াফিয়া। ২০১৭ সালের গুজরাট বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচার করেন গোর্ধন। তাঁর হাতেই এ বার উত্তরপ্রদেশের চাবি তুলে দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
গোর্ধন ছাড়াও আরও দুই নেতা দুষ্যন্ত গৌতম ও নরোত্তম মিশ্রকেও উত্তরপ্রদেশের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি লোকসভা আসন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। ৮০ লোকসভা আসনযুক্ত উত্তরপ্রদেশের জন্য তাই তিনজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে বিজেপি। এ ছাড়া বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র যাদবকে বিহার, অনিল জৈনকে ছত্তিশগড়, ভি মুরলীধরণ ও সুনীল দেওধরকে অন্ধ্রপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মহেন্দ্র সিংকে দেওয়া হয়েছে অসম এবং ও পি মাথুরকে গুজরাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনে হারের পরেও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের হাতেই রয়েছে রাজস্থানের দায়িত্ব। সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী থাওয়ার চন্দ গেহলাটকে দেওয়া দেওয়া হয়েছে উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও কোনও পরিবর্তন করেনি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় রয়েছেন এ রাজ্যের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে।