২০১৩ সালে সদ্য কনফেডারেশন কাপ জয় করে ব্রাজিলবাসীর অন্যতম আশা ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেন নেইমার!!
সেদিনের নেইমার কিংবা আজকের নেইমারের উঠে আসা, একদম পাড়ার রাস্তায় ফুটবল খেলে, অভাব অনটনের সাথে সংগ্রাম করে, জীবন যুদ্ধে অনেক লড়াই করে!!
জীবন যুদ্ধে সফল একজন নেইমার চাইলেন, যেই সাও পাওলোর আলো বাতাস পথঘাট মানুষজন তাকে এ অব্দি নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে, সেই সাও পাওলোর তথা ব্রাজিলের জন্যে কিছু করতে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্যে কিছু করতে! তিনি তার এই চিন্তাভাবনার নাম দিলেন ‘গিভিং ব্যাক’!
নেইমারেরর এই ‘গিভিং ব্যাক’ অনুভূতি থেকেই ২০১৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন, ইনস্টিটিউশন নেইমার জুনিয়ার নামক একটি চ্যারেটিবল অর্গানাইজেশন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থযোগান দাতা স্বয়ং নেইমার, এবং এটির প্রধান স্পন্সরশীপ ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ফাউন্ডেশন।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য, সাও পাওলো সহ ব্রাজিলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়ালেখা চালানোর পাশাপাশি, তাদের বিভিন্ন খেলাধুলায় পারদর্শী করে তোলা এবং পাঠ্যবইয়ের বাহিরে নানান বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা।
বর্তমানে ইনস্টিটিউশন নেইমার জুনিয়ার’এর ১২০ টি অফিসের অধীনে ৯২ হাজার শিশু সহায়তা পাচ্ছে পুরো ব্রাজিল জুড়ে।
একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তাদেরকে ইংরেজিতে বিশেষ দক্ষ, সংগীত ও নৃত্য শিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, বয়ঃসন্ধিকালীন শিক্ষা, বিভিন্ন কারিগরি ও সামাজিক উন্নয়নমুলক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হচ্ছে। এছাড়া ফুটবলের পাশাপাশি ভলিবল, বিচ ভলিবল, সাতার, জুডো, দাবা, বাস্কেটবল, ফুটসাল, বডিবিল্ডিংয়ে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।
চিন্তা করেন, সংখ্যাটা ৯২ হাজার! ব্রাজিলের এক সাংবাদিক একবার বলেছিলেন, “Neymar Jr, arguably the best footballer in the world right now with a heart the size to match his on field prowess!”
গতকাল নেইমার ইন্সটিটিউট এর ছিলো ৪র্থ বর্ষপুর্তি! এগিয়ে যাক নেইমার, বহুদূর যাক নেইমারের ইনস্টিটিউশন নেইমার জুনিয়ার!
সংগৃহীত