রাজ্যে যাতে বিদ্যুৎ ঘাটতি না হয় সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই উদ্দেশ্যেই সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে মমতা সিদ্ধান্ত নিলেন খড়্গপুরের কাছে প্রায় ৪০ একর জমির ওপর ১০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার৷
জানা গেছে ১০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ তৈরির জন্য আরও প্রকল্প নেওয়া হবে। রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে। বিভিন্ন স্কুল, অফিসগুলির ওপর সৌরবিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে। সেখান থেকে ১৬–২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এক একটি জায়গায় এই প্রকল্প তৈরিতে ৪০ থেকে ৪৫ কোটি টাকা প্রয়োজন হচ্ছে।
সারা বিশ্ব জুড়ে দূষণের হাত থেকে বাঁচতে অপ্রচলিত শক্তি থেকে বিদ্যুৎ তৈরি ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পিছিয়ে নেই বাংলার সরকারও৷ তাই ইতিমধ্যেই সরকারি উদ্যোগে প্রায় ১৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে। রাজ্য সরকার প্রায় প্রতিটি জেলায় ১০ মেগাওয়াটের ছোট ছোট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করে চলেছে। ১০ মেগাওয়াটের এক একটি ইউনিট তৈরি করতে প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচ পড়ে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি, বাঁকুড়ার মেজিয়ায় তিস্তা ক্যানেলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপদিত হচ্ছে। তা সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহারও হচ্ছে।
২০১৯ সালের মধ্যে রাজ্য সরকারের লক্ষ্য রয়েছে ৩০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ তৈরির। ২০২২ সালের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট৷ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সৌরবিজ্ঞানী শান্তিপদ গণচৌধুরি বলেন, ‘থার্মাল পাওয়ারে কয়লার ব্যবহারের ফলে পরিবেশে কার্বন–ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে রাজ্য সরকার যে অপ্রচলিত শক্তির ওপর জোর দিচ্ছে এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।’