আবারও প্রকাশ্যে চলে এল হিন্দুত্ববাদীদের মোদী বিরোধীতা। দিন কয়েক আগেই বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মোদীর পরিবর্তে নীতিন গাডকরির নাম উঠে এসেছিল এক সঙ্ঘ নেতার মুখ থেকে। এবার উঠল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুত্ববাদের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথের নাম। একদিকে কৃষ্ণ, আর অন্যদিকে যোগীর ছবি দিয়ে হোর্ডিং টাঙানো হয়েছে লখনউ ও আগ্রায়। লেখা রয়েছে ‘হ্যাসট্যাগ যোগী ফর পিএম’!
এর পাশাপাশি যোগীকে ‘কলিযুগের অবতার’-ও আখ্যা দেওয়া হয়েছে দক্ষিণপন্থী সংস্থা উত্তরপ্রদেশ নব নির্মাণ সেনার ওই হোর্ডিংয়ে। কৃষ্ণ ও যোগীর ছবির মাঝে লেখা, ফৈজাবাদের নাম বদল করে অযোধ্যা করার কৃতিত্ব যোগীর। রাম ত্রেতাযুগের অবতার। আর যোগী হলেন কলিযুগের অবতার।
৫ রাজ্যে ভরাডুবির পর থেকেই নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প তৈরি রাখার কথা ভাবছে বিজেপির রাজনৈতিক অভিভাবক আরএসএস। সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ গাডকরি। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের একটি সরকারি সংগঠনের তরফে ভাগবতকে চিঠি দিয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গাডকারিকে তুলে ধরার আর্জি জানানো হয়। আবার গাডকরিও ‘ব্যর্থতার দায়িত্ব নেতাদের নিতে হয়’ বলে মন্তব্য করে বিতর্ক আরও বাড়িয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তাঁর সেনাপতি হিসেবে পরিচিত দলের সভাপতি অমিত শাহকে ভয় পেয়ে চলেন না বিজেপির যে কজন হাতে গোনা নেতা, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গাডকরি ও যোগী। গাডকরির মতো যোগীরও নিজস্ব পরিসর আছে। সরাসরি সঙ্ঘ পরিবারের লোক না হলেও পেছন থেকে সমর্থন আছে। এ কারণেই মোদীর পছন্দের তালিকায় নেই তিনি। দলের অনেকে বলেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে যোগীর পরিবর্তে মনোজ সিনহাকে চেয়েছিলেন মোদী।
যোগীর ছবি দেওয়া হোর্ডিংটির প্রসঙ্গে আগ্রার মেয়র নবীন জৈন জানিয়েছেন, ‘পুরনিগম কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে এই হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। আগ্রায় এই মাপের হোর্ডিং টাঙানো নিষিদ্ধ। যিনি সেটি টাঙিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ যদিও জানা গেছে আগ্রা ও লখনউ শহরের বেশ কয়েক জায়গায় যোগীকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবিতে ওই হোর্ডিং টাঙিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ নবনির্মাণ সেনার প্রধান অমিত জানি। বিতর্কিত মন্তব্য করায় বেশ নামডাক আছে তাঁর। সদ্যই বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিনের জন্য পাকিস্তানের ওয়ান ওয়ে টিকিট কেটে খবরে এসেছিলেন তিনি। আর এবার যোগীকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জানিয়ে বিজেপিকে অস্বস্তি ফেললেন অমিত।