বর্ষশেষের আবহে টলিউডে ইন্দ্রপতন। প্রয়াত বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ গৌতম দে। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার সকাল ৭ টা নাগাদ মারা যান তিনি। বেশ অনেক দিন ধরেই ক্যানসার আক্রান্ত ছিলেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘বর্ষীয়ান অভিনেতা গৌতম দে-র প্রয়াণে আমি শোকাহত। দীর্ঘদিন বাংলা থিয়েটার ও ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি৷ পাশাপাশি ধারাবাহিকেও ওঁর কাজ ছিল দেখার মত৷ খুবই গুণী এক অভিনেতাকে হারাল বাংলা। ওঁর পরিবারকে আমার সমবেদনা জানাই৷’
১৯৮০ সালে থিয়েটারের মঞ্চ দিয়েই অভিনয় জীবনের হাতেখড়ি ঘটে তাঁর। তাঁর অভিনীত প্রথম বাংলা নাটক শ্রীমতী ভয়ঙ্করী ভীষণ ভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল। রবি ঘোষ, বাসবী নন্দী, শেখর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে তাঁর সৃজনশীল অভিনয় নজর কাড়ে দর্শকদের। একবার একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, স্টেজেই জীবনের সবচেয়ে আনন্দের ও খুশির মুহূর্তগুলো কাটিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তাঁর অভিনীত অন্যান্য নাটকগুলি হল দম্পতি, সাবাস পোটো পাঁচু, বৈশাখী ঝড় ইত্যাদি।
ইন্দোর সেনের একটি ধারাবাহিকে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে প্রথম বাংলা টেলি জগতে হাতেখড়ি হয় তাঁর। মীনাক্ষী গোস্বামীর কলকাতার কাছে তাঁর জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক জন্মভূমিতে তাঁর অভিনয় এখনও সর্বজনবিদিত। তাছাড়াও তাঁর অভিনীত অন্যান্য ধারাবাহিকগুলি হল তিথির অতিথি, ধ্যাততেরিকা, এ কোন সকাল, লাবণ্যের সংসার, খুঁজে বেড়াই কাছের মানুষ ইত্যাদি। এছাড়াও ইস্টিকুটুম, কুসুমদোলার মতো জনপ্রিয় সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সৃজনশীল অভিনয়ের জন্য সকলের মন কেড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি রানি রাসমণি ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন গৌতম দে।
অসুস্থ থাকলেও অভিনয়ের মধ্যেই ছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে টলিপাড়ায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হবে। সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর আজই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।