বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি বরাবরই কৃষকবান্ধব। বিধানসভা ভোটে জেতার পর মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড় ও রাজস্থানে কৃষি ঋণ মকুব করেছে কংগ্রেস। সেই চাপে পড়ে গুজরাতেও কৃষি ঋণ মকুব করেছে বিজেপি সরকার। কিন্তু কংগ্রেস বা বিজেপি শাসিত রাজ্যের বহু আগেই বাংলায় কৃষিঋণ, কৃষিজমির কর এবং মিউটেশন ফি মকুব করেছে মমতার সরকার। এই প্রসঙ্গে একটি টুইটও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওই টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চরণ সিং চৌধুরির জন্মবার্ষীকিতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। এই দিনটিকে ‘কিষান দিবস’ হিসাবেও পালন করা হয়। এমন দিনে দেশের সকল কৃষককে জানাই শুভেচ্ছা। ২০১০-১১-র তুলনায় ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে কৃষকদের বার্ষিক আয় গড়ে প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে। আগে তাঁদের আয় ছিল ৯১ হাজার টাকা। এখন তাঁদের আয় বেড়ে হয়েছে ২.৯১ লক্ষ টাকা। আমরা কৃষি ঋণ মকুব ছাড়াও কৃষি জমির কর ও মিউটেশন ফি মকুব করে দিয়েছি। কৃষক কল্যাণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময়েই গোটা দেশ দেখেছিল মমতার কৃষকবান্ধব রাজনীতি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেই মমতার প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী সিঙ্গুরে কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেন। দ্বিতীয়বার সরকারে এসেই মমতার সরকার কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেয়। ক্ষমতায় এসে প্রথমেই কৃষকদের দিকে নজর দিয়েছিলেন মা-মাটি-মানুষের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আমলে কৃষকদের মুখে হাসি। উৎপাদনে ঘাটতি নেই। কৃষকদের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ তিন গুণ বেড়েছে।
পাশাপাশি মমতা বলেছিলেন, শিল্প তৈরি করতে হলে কৃষকদের জমি জোর করে নেওয়া যাবে না। ২০১১ থেকে এখনও পর্যন্ত তা মেনে চলেছে সরকার। ২০১৮ সাল পর্যন্ত শিল্পের জন্য কোনও জমি জোর করে নেওয়া হয়নি। মমতা বলেছিলেন, জমি নিতে হলে জমির মালিকের সঙ্গে শিল্পপতিদের আলোচনা করতে হবে। কৃষকরা রাজি থাকলে শিল্পপতিরা জমি পাবেন।