চলতি মরশুমে শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে জয়ের মুখ দেখল মোহনবাগান। শিলং লাজং কে ২-০ গোলে হারাল সবুজ মেরুন। গোল করেন মোহনবাগানের দুই বিদেশি ইয়ুটা ও হেনরি। ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে ৫ নম্বরে উঠে এল শঙ্করলালের দল।
লাজং ম্যাচের আগে পর্যন্ত চলতি মরসুমে আই লিগে ঘরের মাঠে একটাও ম্যাচ জিততে পারেনি মোহনবাগান। আইজল, চেন্নাইয়ের সঙ্গে ড্র। চার্চিল, ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারে বাগান। মিনার্ভার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জেতার পর বাগান কোচ বলেছিলেন, ”এবার ভাগ্য ফিরছে তাঁদের”। শিলং লাজং ম্যাচ জিতে বাগান ফুটবলাররা কোচের কথার মান রাখলেন। প্রথমার্ধে একাধিক চেষ্টা করেও কাঙ্খিত গোল আসেনি মোহনবাগানের।
এদিন জয় ছাড়া আর কোনও লক্ষ্যই ছিল না কোচ শংকরলালের। সেইমতো অযথা হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিয়ে মাথা ঠান্ডা করে খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন ফুটবলারদের। মোহন-কোচের সেই অমোঘ বাণী অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে জয় পেল সবুজ-মেরুন শিবির। চলতি আই লিগে ঘরের মাঠে প্রথম জয় স্বস্তিও দিয়েছে ফুটবলারদের। শনিবার ঘরের মাঠে রিয়েল কাশ্মীরের কাছে চেন্নাই সিটি হেরে যাওয়ায় এমনিতেই আই লিগ জমে উঠেছিল। সেই ম্যাচ লিগ তালিকায় অনেক টিমকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। আশার আলো দেখেছিল মোহনবাগানও। রবিবাসরীয় সন্ধেয় যুবভারতীতে শিলং লাজংকে হারিয়ে এবার লিগ আরও জমিয়ে দিল সবুজ-মেরুন শিবির। প্রথমার্ধে দাপটের সঙ্গে খেললেও গোলমুখ খুলতে পারেনি মোহনবাগান। বিরতির পর প্রথম গোল আসে ইউটার পা থেকে। জাপানি মিডিওর দুর্দান্ত শটে লাজংয়ের জালে বল জড়িয়ে যায়। তারপর বক্সে জটলার মধ্যে হেনরির গোল ব্যবধান বাড়ায়। এদিন ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন থাকলে আরও গোল করতে পারত মোহনবাগান। বহুদিন বাদে বেশ জমাট খেলা দেখাল মোহনবাগানের মাঝমাঠ। ইউটা ও মেহতাব জুটিতে কামাল দেখিয়েছে এদিন। তবে আক্রমণে কিছু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ডিকা ও হেনরি। সোনির অনুপস্থিতিতে ওমর বেশ দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন।
এর আগে যুবভারতীতে নামলেই খেই হারিয়ে ফেলছিল মোহনহবাগান। শহরেই জয় আসছিল না। বাড়ছিল চাপ। ডার্বি হারের হতাশা আগেই কেটেছে অ্যাওয়ে ম্যাচে মিনার্ভাকে হারানোয়। এবার যুবভারতী-গাঁট উতরোলেন শঙ্করলাল ব্রিগেড। ক্রিসমাসের আগে এর থেকে আর ভাল কী হতে পারে!
৯ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগান আপাতত পাঁচ নম্বরে উঠে এল।