ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে তথ্য সংগ্রহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। এবার তাঁর বেঁধে দেওয়া সুরেই সোচ্চার হলেন কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা। এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে পথেও নামতে চলেছেন তাঁরা। খুব শীঘ্রই রাণুছায়া মঞ্চে জমায়েত হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই নির্দেশিকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাবেন কবি-লেখক-শিল্পীরা।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ বলছেন, এই সিদ্ধান্ত জরুরী অবস্থার চেয়েও ভয়ঙ্কর। কেউ আবার প্রশ্ন তুললেন, ব্যক্তিগত বলে কি আর কিছুই থাকবে না? বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক সুবোধ সরকার বলেন, ‘ছেলে-মেয়েরা কি শান্তিতে প্রেমের কথাও বলতে পারবে না? এই সময় জরুরী অবস্থার চেয়েও ভয়ঙ্কর। খূব তাড়াতাড়ি সরকারের এই ফতোয়া পোড়াব আমরা’।
একই মত কবি মন্দাক্রান্তা সেনেরও। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘শকুন’ শিরোনামে একটি কবিতা লিখেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সরকার চাইলে আমায়-আপনাকে যে কোনও মুহূর্তে দেশদ্রোহী তকমা দিতে পারে। সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত বলে আর কিছুই থাকছে না। এটা ভয়ঙ্কর’।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকা আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছেন তিনি। এই বিষয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর এখন সাধারণ মানুষের তথ্য জোগাড় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। দেশজুড়ে বিভিন্ন মহল থেকেও এ নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব।