দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক। শুক্রবার সংসদে, পরিবেশমন্ত্রী মহেশ শর্মা জানিয়েছেন, আর মাত্র ১২ বছর। তারপরেই প্রবল খরার মুখে পড়তে চলেছে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তবে শুধু খরাই নয়। মরশুমের আগেই অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের অনেক এলাকা প্রবল বন্যায় ভেসেও যেতে পারে।
গতকাল লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে পরিবেশমন্ত্রী জানান, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বিস্তীর্ণ অংশ বিশেষ করে হিমালয়ান রিজিওন প্রবল খরার সম্মুখীন হতে চলেছে। দেশের অন্য অংশ অতি ভারী বর্ষণের কারণে প্রবল বন্যার মুখে পড়তে চলেছে। আর এসবই ঘটবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।’ অবিলম্বে এই ইস্যুতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দেশ তথা সারা বিশ্বের মানুষের সামনে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে বলে মনে করছেন তিনি।
দেশের যে রাজ্যগুলি মূলত হিমালয়ান রিজিওনের আওতায় পড়ে, সেই তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামের পার্বত্য অঞ্চল্যের নাম। এছাড়া জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাঞ্চল, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরা এর অধীনে পড়ে।
সংসদে পরিবেশ মন্ত্রকের পেশ করা তথ্য অনুসারে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে খরার কারণে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়তে চলেছে এই অঞ্চলগুলি। পরিবেশমন্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মিতভাবে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতির উপর নজরদারি চালায়। চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর (এনডিএমএ) বিভিন্ন নির্দেশিকাও জারি করেছে।’
লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘দেশে তাপপ্রবাহের পরিমাণ লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দশক দেশ তথা সারা বিশ্বের জন্যই উষ্ণতম দশক ছিল। ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি এই মর্মে ইউএনএফসিসিসিতে (ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ) তাদের প্রথম রিপোর্ট জমা দেয় ভারত। যেখানে সাম্প্রতিককালে মাত্রাতিরিক্ত উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত এবং ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের উল্লেখ করা হয়েছে।’
যদিও ইউএনএফসিসিসিতে এখনও তাদের দ্বিতীয় রিপোর্ট এখনও জমা করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই ছবিটা আরও পরিস্কার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।