বড়দিনটা মোটেও ভালো ভাবে কাটবে না আমেরিকার সরকারি কর্মীদের। ক্রিসমাসের এই খুশির মরশুমে প্রায় ৮ লক্ষ কর্মীর মাথায় পড়ল আর্থিক ফাঁড়া। তার ফলে বড়দিনের আনন্দ করার জায়গাতে এখন তাঁরা তীব্র আর্থিক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসে। আমেরিকা–মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলার জন্য পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিল পাস করানোর দাবি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান সেনেটররা একমত হননি ট্রাম্পের সাথে। তার ফলে স্থানীয় সময় সন্ধে সাতটা নাগাদ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং রাত আটটা নাগাদ সেনেট মুলতুবি হয়ে যায়। তারপর শনিবার মধ্যরাত ১২.১ মিনিট থেকেই শাট ডাউন চালু হয়ে গিয়েছে সরকারি দফতরগুলিতে।
এই শাট ডাউনের ফলেই বিপদ নেমে এসেছে প্রায় ৫ লক্ষ সরকারি কর্মীদের ওপর। কারণ তাঁরা আপাতত বেতন পাবেন না। মিলবে না কোনও সরকারি বরাদ্দ। কার্যত বিনা বেতনেই কাজ করতে হবে তাঁদের। বেতন না দিতে পারার জন্যে আপাতত ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও প্রায় ৩ লক্ষ কর্মীকে। ফলে সরকারি বিনোদন পার্ক, মিউজিয়াম, লাইব্রেরির মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলি কর্মীর অভাবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ট্রাম্প অবশ্য স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই শাট ডাউনের জন্য বিরোধীদের দায়ী করে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরাই এভাবে বিল পাস না করিয়ে শাট ডাউনের পথে হেঁটেছে। তাদেরই ঠিক করা উচিত তারা কতদিন শাট ডাউন চালাবেন। তবে তিনি এজন্য প্রস্তুত ছিলেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু সাধারণ মানুষ যে দুর্দশায় পড়েছেন তাই নিয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেননি তিনি।
শুক্রবার প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত সেনেটরদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের কর্মীদের নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, ট্রাম্পের জামাই জ্যারেড কুশনার এবং হোয়াইট হাউসের কর্মীদের প্রধান মাইক মালভ্যানি। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র না বেরনোয় শনিবার মধ্যরাত থেকেই শাট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর
যার ফল ভুগছেন কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মী।