ছোট ছোট ছানার বল, গরম চিনির রসে ফেলতেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে মনোলোভা সেই মিষ্টি রসগোল্লা।যার জিআই ট্যাগ বা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন পাওয়া নিয়ে তুমুল লড়াই চলেছিল বাংলা এবং উড়িষ্যার মধ্যে। শেষমেশ জয়ী হয়েছিল বাংলাই। বস্তুত রসগোল্লা এবং বাঙালির মধ্যে সম্পর্কটা অবিচ্ছেদ্য। বাংলার সেই রসগোল্লা দেখতে দেখতে পূর্ণ করল ১৫০ বছর। রাজ্য সরকারি উদ্যোগে ২৮-৩০ ডিসেম্বর তিনদিন ব্যাপী রসগোল্লা উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাগবাজারে।
রসগোল্লা জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর থেকেই এমন এক উৎসব করার কথা ভেবেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগে এবং সহায়তায় এক বছরের মাথায় এই উৎসব আয়োজন করা হল। কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে এই উৎসবের কথা জানালেন রাজ্যের নারী এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ শশী পাঁজা এবং চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। ছিলেন রসগোল্লার আবিষ্কর্তা নবীনচন্দ্র দাসের নাতি ধীমান দাস।
২৮ তারিখ বিকালবেলাতে এই উৎসবের উদ্বোধন হবে। তিনদিনের এই উৎসব চলবে গৌরীমাতা উদ্যানে। উদ্বোধন করবেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। থাকবেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র অতিন ঘোষ সহ আরও অনেকেই। উৎসবে নানা প্রস্তুতকারকদের রসগোল্লা তো থাকছেই, সঙ্গে থাকছে নানা স্বাদের অনুষ্ঠান। পাওয়া যাবে সন্দেশ এমনকি বিভিন্ন জেলার দইও। উৎসবে আসবেন প্রখ্যাত গায়ক হরিহরণ। থাকবে কুইজ এবং রন্ধন প্রতিযোগিতাও। ওই অনুষ্ঠানেই প্রকাশিত হবে নবীনচন্দ্রের ওপর জিপিও-এর তৈরি করা একটি ডাকটিকিটও। প্রসঙ্গত, বাংলার সেরা মিষ্টির ১৫০ বছর পূর্তির সঙ্গেই মুক্তি পাচ্ছে ‘রসগোল্লা’ নামের এক সিনেমা। বাঙালি এমনিই মিষ্টি প্রেমী, আর রসগোল্লার সাথে বাঙালির সম্পর্ক ভীষণ মিষ্টিময়। একদিকে রসগোল্লা উৎসব এবং আরেকদিকে রসগোল্লা সিনেমা, সব মিলিয়ে বছরের শেষটা ভীষণ মিষ্টি কাটতে চলেছে সবার।