শুধু বাংলা বা ভারতের নয় বিশ্বের যে কোনও বাঙালিই এবার গর্বিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতার নাম আগেই ঘোষণা করেছিল ‘স্কচ অরগ্যানাইজেশন’। এবার মমতার সরকারকে দেশের সেরা সরকারের শিরোপা দিল তারা। পাশাপাশি মমতার ছবি দিয়ে প্রচ্ছদ বানাল ‘স্কচ’-এর পত্রিকা ‘ইনক্লুশন’।
প্রশাসানিক দক্ষতা ও মানুষের জন্য কাজের নিরিখে এই শিরোপায় মমতাকে সম্মানিত করেছে ‘স্কচ’। পত্রিকার প্রচ্ছদে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে শিরোনামঃ ‘দ্য রাইজ অফ মমতা ব্যানার্জি’। শুধু সর্বসেরার স্বীকৃতিই নয়, চলতি বছরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩১ টি স্কচ পুরষ্কার জিতে নিয়েছে বাংলা। তার মধ্যে নানা কাজের সাফল্যের পাশাপাশি বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক অভিনব সরকারি প্রকল্প ও কর্মসূচী রূপায়নের বিষয়টিও স্কচের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে। আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মমতার প্রিয় ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের কথা, যা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পেয়েছে। ১০০ দিনের কাজ, শ্রমদিবস কাজে লাগানোর হিসাবেও সেরা হয়েছে বাংলা। যে বাম আমলে শ্রমদিবস নষ্ট হওয়াতেই ছিল বাংলার পরিচয়। নগর ও গ্রামের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক বিকাশের ক্ষেত্রেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাকে সেরা মেনেছে স্কচ।
সাধারণ জনমত যাচাই বা বুথ ফেরত সমীক্ষা নয়। সরকারি প্রচারের তথ্য পরিসংখ্যানও নয়। বরং মাটিতে দাঁড়িয়ে, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, চাহিদা অনুভব করে যে কাজ হয়, তার মূল্যায়ন করে স্কচ। তারই ভিত্তিতে নির্নায়িত হয় দেশের সব কটি রাজ্য সরকারের সাফল্য-ব্যার্থতা। সেই অনুসারেই জানানো হয় দেশের মুখ্যমন্ত্রীরা কে কোথায় দাঁড়িয়ে। এভাবেই স্কচ ১৯৭৭ সাল থেকে দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের মূল্যায়ন করে আসছে। এভাবেই দেশের মোট ২১ জন মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্য-ব্যার্থতা বিচার করে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি দেশের সেরা সরকারও হয়েছে বাংলাই। পত্রিকার প্রচ্ছদেও তাই মমতা তথা বাংলার মুখ।