গোমাংস নিয়ে বিবাদে পিটিয়ে মারা হয়েছে মহম্মদ আখলাককে। একইভাবে গোমাংসের গুজবে হানাহানির ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ভেদাভেদের রাজনীতি করছে কিছু রাজনৈতিক দল। ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশ। এমন পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। তিনি বলেন, ‘যারা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে, তারা অবাধে ঘুরছে। আমরা সম্প্রতি দেখেছি, একটি পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর চেয়ে একটি গোরুর মৃত্যু বেশী গুরুত্বপূর্ণ’।
এই নিয়ে একটি ছোট্ট ইউটিউব ভিডিওতে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাসিরুদ্দিন। সেখানে তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি দেখে আমার ভয় নয়, রাগ হচ্ছে’। নাসিরুদ্দিনের মতে, ভারতীয় সমাজে একটা বিষ ছড়ানো হচ্ছে৷ নাসিরুদ্দিনের জবানীতে, ‘যে জিনকে সমাজে ছাড়া হয়েছে, তাকে বোতলে ফেরানো খুব কঠিন’।
ক্ষুব্ধ নাসিরুদ্দিনের কথায়, ‘আমি ধর্মীয় শিক্ষা পেয়েছিলাম৷ কিন্তু রত্না (নাসিরুদ্দিনের স্ত্রী) কোনও ধর্মীয় শিক্ষা পায়নি৷ আমরা আমাদের সন্তানদেরও কোনও ধর্মীয় শিক্ষা দিইনি৷ কোনও দিন হয়তো আমার সন্তানদের কয়েকজন হিংস্র মানুষ ঘিরে ধরে জিগ্গেস করবে, ‘তুমি হিন্দু না মুসলিম? আমার সন্তানদের কাছে কোনও উত্তর থাকবে না৷ কারণ, আমরা আমাদের সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দিইনি। আমি ক্ষুব্ধ এবং আমি বিশ্বাস করি, সঠিক চিন্তা-ভাবনার যে কোনও মানুষই আমার মতোই ক্ষুব্ধ৷’