গণতন্ত্র বাঁচানোর নামে রাজ্যজুড়ে রথযাত্রা করে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়ানোর পরিকল্পনাই ছিল বিজেপির। কিন্তু সেই রথযাত্রাই এই মুহূর্তে বিজেপির কাছে সব থেকে বড় কাঁটা। মাসের শুরুতেই কলকাতা হাইকোর্টে বসে গিয়েছিল তাদের রথের চাকা। সেই থেকে রথের রশি আদালতের হাতেই। এই পরিস্থিতিতে রথযাত্রা ইস্যুতে নিজেদের পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে গিয়ে ‘বিভ্রান্ত’ বিজেপি আইন এবং আইন অমান্য, দুই রাস্তাতেই হাঁটতে চলেছে!
জানা গেছে, আজ, সোমবার থেকেই রাজ্যের সব জেলায় জেলাশাসক বা মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। রথযাত্রা কর্মসূচির অনুমতি না মিললে আইন অমান্যও করা হবে বলে এক প্রকার ‘হুমকি’ দিয়ে রেখেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। অন্যদিকে, আদালতের তরফে রথযাত্রায় স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেও ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির এমন ‘দ্বিচারিতা’র ফলে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এ প্রসঙ্গে রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মত, আইনের কাছ থেকে ‘ইতিবাচক’ রায় না পাওয়ার এখন আশঙ্কায় ভুগছে বিজেপি। তাই রথযাত্রা আটকে যাওয়ার পরে তাদের কর্মসূচি আপাতত দ্বিমুখী। কারণ আইনের আশ্রয় নিলেও, একই সঙ্গে আইন অমান্য কর্মসূচিও রেখেছে দল। তবে কি শুধু আদালতের রায়ের ওপর ভরসা করে আর বসে থাকতে পারছেন না বিজেপি নেতৃত্ব? এই কারণেই কি তারা বিকল্প হিসেবে এমন হিংসার পথ বেছে নিচ্ছেন?
এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘একেবারেই তা নয়। আমরা ফের কলকাতা হাইকোর্টে যাব। রাজ্য সরকার চিঠিতে লিখেছে, রথযাত্রা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জেলাশাসকরা রিপোর্ট দিয়েছেন। আমরা তাই জেলায় জেলায় প্রতিবাদসভা করব। সেখানে অনুমতি না দিলে আইন অমান্য হবে।’ তৃণমূলের মহাসচিব এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘ওদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাই যে কোনও বিষয়কেই ওরা আদালতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ভাবে জনগণকে সঙ্গে পাওয়া যায় না।’