মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গোটা বাংলা জুড়েই চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। বাদ পড়েনি রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিও। তবে এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আরও কী কী ভাবে উন্নয়ন করা যায়, সে বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে হবে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে। জানতে হবে, মানুষের স্বার্থে আর কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করা যেতে পারে। শুনতে হবে, তাঁদের অভাব ও প্রয়োজনের কথা।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে, ইতিমধ্যেই সে কাজে নেমে পড়েছে পঞ্চায়েত সমিতিগুলি। কোথায় আরও রাস্তা, পানীয় জল ও আলোর প্রয়োজন তা জানতে স্থানীয় মানুষের মতামত নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি মানুষের সঙ্গে কথা বলে উন্নয়নমূলক কাজের খসড়া তৈরি করবে। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে একটি রিপাের্ট পঞ্চায়েত দফতরে জমা দিতে হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই পঞ্চায়েত দফতর মানুষের চাহিদা অনুযায়ী প্রকল্প ভিত্তিক কাজ শুরু করে দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই রাজ্যে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ হয়েছে। মিটেছে পানীয় জল ও পরিবহনের সমস্যাও। রাজ্যের উদ্যোগে ২ টাকা কিলাে করে চাল দেওয়া হচ্ছে। কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যবিমা, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পগুলির মাধ্যমেও আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, তৃণমূল জমানায় রাজ্যে অনেক মাল্টিসুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। বিনামূল্যেই চিকিৎসা এবং ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে সেইসব সরকারি হাসপাতালগুলিতে। ফলে রাজ্যে উন্নয়নের ধারা যে অব্যাহত তা বলাই বাহুল্য। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় এবার সেই উন্নয়নের ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর পঞ্চায়েত দফতর।