পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনে হারতেই বিজেপির অন্দরে দেখা দিয়েছে বিদ্রোহ। গেরুয়া শিবিরে আপাতত ‘আচ্ছে দিন’ তো দূর অস্ত। শরিকদের পাশে রাখাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে মোদী-শাহ জুটির। বিভিন্ন ইস্যুতে ক্রমাগত বিজেপিকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া আগেই শুরু করেছিল শরিক শিবসেনা। এবার বেসুরে গাইতে শুরু করেছে আকালি দল, জেডিইউ, এল জেপি-র মতো অন্যান্য শরিক দলগুলিও।
আকালি দলের নেতা নরেশ গুজরাল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এখনই শরিকদের মনজয়ের চেষ্টায় নামা উচিত বিজেপির। না হলে ২০১৯-এর পথ আরও কঠিন হয়ে যাবে।’ কারণ, গুজরালের মতে, পরের বার কোনও দলই দুশোর বেশি আসন জোগাড় করতে পারবে না। তাই যারা আগে থেকে ঠিকঠাক জোট গড়বে, তারাই বাজিমাৎ করবে। মোদী-শাহকে বিশেষ ভাবে শিবসেনার দিকে নজর দেওয়ারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
কেউ মুখে কিছু না বললেও, অস্বস্তি রয়েছে বিহারে বিজেপির দুই শরিক জেডিইউ এবং এলজেপি-কে নিয়েও। মিডিয়ার একাংশের দাবি, সাধারণ নির্বাচনের আগে বিজেপি আরও বেশি করে ‘মন্দির মন্দির’ করবে বলেই মনে করছে তারা। সেক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে থাকলে তাদের সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেস-আরজেডি-র দিকে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে তাদের।
এদিকে শিবসেনাও মোদী-শাহের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছে। ঘটনা হল, এবার আর শুধু সমালোচনাতেই থামতে চাইছে না তারা। জানা গেছে, তারা চায় মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট এগিয়ে এনে তা লোকসভার সঙ্গেই করতে। লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোটে না যাওয়ার কথা শিবসেনা আগেই জানিয়ে রেখেছে, বিধানসভা ভোটেও হাত ধরার সম্ভাবনা বেশ কম। শিবসেনার আশা, বিজেপির যা পরিস্থিতি তাতে বিধানসভা ভোট এগিয়ে আনলে ফের রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে উঠে আসতে পারবে তারা। গত নির্বাচনে যে তকমা বিজেপি তাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। এমনটাও শোনা যাচ্ছে যে এ নিয়ে কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে গোপনে পরামর্শও চালাচ্ছেন ঠাকরেরা!
এমন অবস্থায় শরিকদের সঙ্গে সম্পর্কের সেতু কী করে ফের পোক্ত করেন মোদী-শাহ বা আদৌ পারেন কি না, সেটাই দেখার।