৯ ডিসেম্বর, রবিবার ছিল স্ত্রী শিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া হোসেনের ১৩৮তম জন্মদিন এবং ৮৬তম মৃত্যুদিন। গতকাল বিকালে পানিহাটি বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই মহীয়সী নারীর একটি আবক্ষমূর্তি উন্মোচন করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ওই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল কান্তি ঘোষ, জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, সাংসদ সৌগত রায়, পানিহাটির পৌরপ্রধান স্বপন ঘোষ, স্কুল সচিব মণীশ জৈন প্রমুখ। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রোকেয়া বেগমের উপর একটি তথ্যচিত্রও প্রকাশ করা হয়।
গতকাল পার্থবাবু বলেন, ‘আমাকে অনেকেই বলেন নারী শিক্ষার জন্য যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের জন্য কিছু করতে। সেই চিন্তা ভাবনার ওপর ও তাঁদের কে মনে রেখেই আজকের এই অনুষ্ঠান। আমরা জানতাম বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মমৃত্যু একদিনে। কিন্তু সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুও যে একই দিনে তা হয়ত অনেকেরই অজানা।’
বিদ্যালয়ের তরফে শিক্ষিকা শেফালি বিশ্বাস বলেন, ‘নারী মুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার স্মৃতিধন্য এই বিদ্যালয়। এর জন্য আমরা সকলে গর্বিত।’ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘বেগম রোকেয়া রক্ষনশীল পরিবারে জন্ম নিলেও নিজের প্রচেষ্টায় তিনি নিজে শিক্ষিত হয়েছিলেন।’
রাজ্যে নারীশিক্ষার হালহকিকত নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার মেয়েদের জন্য অনেক কাজ করেছে এবং আরও করবে। ৫০ লক্ষ ছাত্রীকে ইতিমধ্যেই কন্যাশ্রী দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদের পাল্লা দিচ্ছে ছাত্রীরা। বিগত ৪ বছর ধরে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পরীক্ষার ফল ভালো হচ্ছে। পাশাপাশি, স্কুল-কলেজের সংখ্যাও এখন আগের থেকে অনেক বেড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে আবেদন, তাঁরা যেন ছাত্র-ছাত্রীদের সন্তানের চোখে দেখেন।’