মেজাজ হারালেন, দলিয় কর্মীর কলার ধরলেন, অশালীন ভাষায় আক্রমণ করলেন সাংবাদিককে। বীরভূমে বামেদের ডাকা সম্প্রীতির মহামিছিলে এমনই ‘বদমেজাজ’-এ দেখা গেল বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুকে। যেটুকু মান-সম্মান সিপিএমের অবশিষ্ট ছিল, একা হাতে সেটাকেও ধুলোয় মিশিয়ে দিলেন চেয়ারম্যান সাহেব। সাংবাদিককে বলে দিলেন, ‘আলপিন নিজের পাছায় লাগান।’
বিমানের মুখে এমন কুকথা শুনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ‘পাছা’ নিয়ে পুরনো বাম নেতা বিনয় কোঙারেরও বিশেষ ‘ফ্যাসিনেশন’ ছিল৷ জমি আন্দোলন চলাকালীন নন্দীগ্রামে তিনি মহিলাদের বলেছিলেন, ওরা (জমি আন্দোলনকারী এবং তাদের সমর্থকরা) এলে ‘পশ্চাতদেশ’ দেখান৷ প্রায় ১১ বছর পর সাংবাদিকদের ‘পাছায়’ আলপিন ঢোকাতে বলে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান সেই বিনয় কোঙারের স্মৃতিচারণ করলেন।
সোমবার ছিল বামফ্রন্টের সম্প্রীতি যাত্রা। বিজেপির রথযাত্রার প্রতিবাদে বামফ্রন্ট এই পদযাত্রার কর্মসূচী ঘোষণা করেছিল। তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত মিছিল শেষে আয়োজন করা হয়েছিল সভার। সেখানেই বক্তব্য পেশ করতে উঠেছিলেন বিমান বসু। তখনই এক দলীয় কর্মী মোবাইলের ক্যামেরা অন করে ছবি তুলতে এসেছিলেন বিমানের। তা দেখেই মেজাজ হারান চেয়ারম্যান সাহেব। দলীয় কর্মীর কলার চেপে ধরে হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন। এখানেই শেষ নয়, ফোনটা তাঁকে ফেরত না দিয়ে ঠক করে ফেলে দেন নীচে। রাগে তখন গরগর করছেন বিমান। সামনে মাইক সেই হুঁশও নেই। বলেই চলেছেন, ‘আমি সব বুঝি, কায়দা করে সেলফি তুলতে এসেছে’।
তারপরেও মেজাজ ঠান্ডা হয়নি বিমানের। সাংবাদিক স্মমেলনে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ১৯ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় কি বামেদের কোনও প্রতিনিধি থাকবেন? বিমানবাবুর উত্তর, ‘আমাদের তো থাকার কোনও কথা হয়নি’। যদি আমন্ত্রণ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? অল্প রেগে বিমানের জবাব, ‘যদি দিয়ে কাজ হয় কোনও? বিবাহিত নন এমন পুরুষ বা মহিলার যদি সন্তান হয়!’ এরপর বিমানের উদ্দেশে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, যদি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সায় দেয়? এই প্রশ্নে আর নিজেকে সামলাতে পারেন নি বিমান। একেবারে তেলেবেগুনে চটে উঠে বলেন, ‘শুনুন! আপনি যা খুশি লিখুন। আপনার কথাবার্তার ঢংটা হচ্ছে আলপিন নিয়ে ঘোরা। আলপিনটা আপনার পাছায় লাগান।’
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/760567347623622/?t=1