বাংলার মাটিতেই থমকে যাবে বিজেপির রথ। বাংলার মানুষই এই রথযাত্রাকে সুপারফ্লপ করে দেবেন। বিজেপির সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে এমন কড়া ভাষাতেই বাদুড়িয়ায় সভামঞ্চ থেকে তীব্র আক্রমণ শানালেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, লজ্জায় দিল্লীর নেতারা এখন বাংলায় পা রাখার সাহস দেখাতে পারছেন না।
উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায় ছিল ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি সভা। মন্ত্রী ছাড়াও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ইদ্রিশ আলি, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি কৃষ্ণগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রিঙ্কু দে দত্ত, বাদুড়িয়ার পুরপ্রধান তুষার সিং প্রমুখ।
বাদুড়িয়া পুরসভার কমিউনিটি হলে তৃণমূল কর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বহু কর্মী ভিড়ে ঠাসা হলে প্রবেশ করতে পারেননি। কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ও সক্রিয়তা দেখে জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ব্রিগেডের সভায় এবার অকল্পনীয় ভিড় হবে। সেখান থেকেই দেশবাসীকে বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলার কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর নির্দেশ, ‘আপনারা আরও বেশি মানুষের কাছে যান। পুরনো কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। সর্বত্র দেওয়াল লেখার কাজ শেষ করে ছোট ছোট সভা করুন। ব্যানার, ফ্লেক্সে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাড়া আর কারও ছবি ছাপার দরকার নেই। আমার বিশ্বাস আগামী ১৯ জানু্য়ারি এই জেলার মানুষই ব্রিগেড ভরিয়ে দেবেন।’
এরপরই তিনি বলেন, ‘গোটা বাংলার মানুষকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষই এবার সাম্প্রদায়িক বিজেপির দাঙ্গার রথকে রুখে দেবেন। ওই রথযাত্রাকে ফ্লপ করে দেবেন। তা বুঝতে পেরেই বিজেপির দিল্লীর নেতারা এখন বাংলায় আর পা রাখার সাহস দেখাচ্ছেন না।’
সাংসদ ইদ্রিশ আলিও বলেন, ‘বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির চেষ্টা বাংলার মানুষ রুখে দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আর শুধু বাংলার জননেত্রী নন। গোটা দেশই তাঁর দিকে তাকিয়ে। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড থেকে মমতার বার্তা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন আপামর দেশবাসী।’
বাংলা তথা গোটা দেশ থেকে বিজেপিকে নির্মূল করাই এখন মমতার অন্যতম লক্ষ্য। তাই স্বাভাবিকভাবেই সভায় উপস্থিত সকল নেতার ভাষণে, আক্রমণের নিশানা ছিল বিজেপি।